চুঁচড়া: শাশুড়ির সঙ্গে পাড়ার এক মামার পরকীয়া সম্পর্ক জেনে ফেলে বৌমা৷ আর তারই খেসারত দিত হল খুন হয়ে৷ আর এই খুনের অভিযোগ উঠেছে শাশুড়ি এবং পাড়াতুতো মামার বিরুদ্ধে৷ চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির মগরা থানার বৈকুণ্ঠপুরে৷
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, বৈকুণ্ঠপুর গ্রামের বাসিন্দা সৌমক দত্তের মোবাইলের ব্যবসা রয়েছে। বিয়ের আগে থেকেই সম্পর্ক ছিল সৌমক ও অঞ্জু দত্তের। এই সম্পর্কের কথা জানাজানি হওয়ার পর গত ২৪ জুলাই বিয়ে হয় সৌমক ও অঞ্জুর। কিন্তু সেই সম্পর্কের পতন হল মাত্র সাতমাসেই।
অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই অঞ্জুর উপর অত্যাচার শুরু করেন শাশুড়ি। তাঁর পরকীয়া সম্পর্কের কথা কোনভাবে জানতে পারে নতুন বৌমা৷ তা ফাঁস হয়ে যেতেই বাড়ে অত্যাচারের মাত্রা। অভিযোগ, বিয়ের আসরে এক ব্যক্তিকে ‘মামা’ বলে অঞ্জুর সঙ্গে পরিচয় করিয়েছিলেন শাশুড়ি। কিন্তু, বিয়ের কিছুদিনের মাথাতেই অঞ্জু বুঝতে পারেন, ওই ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর বিধবা শাশুড়ির বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে অত্যাচারের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পায়। অঞ্জুর বাড়ির লোকের অভিযোগ, রাতেই গলায় ফাঁস দিয়ে অঞ্জুকে খুনের চেষ্টা করে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। তাঁরা যখন খবর পেয়ে শ্বশুরবাড়ি যান, তখন বিছানায় শোয়ানো অবস্থায় ছিল ওই তরুণী। তখনও ওই যুবতীর শরীরে প্রাণ ছিল। তাঁকে মগরা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই শুক্রবর তাঁর মৃত্যু হয়। যদিও শ্বশুরবাড়ির লোকের দাবি, অঞ্জু আত্মহত্যা করেছে। এই ঘটনায় স্বামী, শাশুড়ি সহ ওই ‘মামা’র বিরুদ্ধে মগরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতার পরিবার। থানায় অভিযোগের পর থেকে মামা মধুসূদন সরকার পলাতক৷