ইসলামপুর: আরজিকর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদে বর্তমানে বিক্ষোভে সামিল গোটা দেশ। এই ঘটনার জেরে গ্রেফতার করা হয়েছিল এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে। আবারও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের বিরুদ্ধে। এমনকি লক্ষাধিক টাকা আদায়েরও অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলার ইসলামপুরের (Islampur) কমলাগাঁও সুজালী এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা কিশোরী এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি একই গ্রামের বাসিন্দা। দিন ১০ আগে অভিযুক্ত কিশোরীর বাড়ি গিয়ে আচমকাই তাঁর শ্লীলতাহানি করে। এই ঘটনার পর কিশোরীর চিৎকার শুনে বেরিয়ে আসে নির্যাতিতার মা। শুধু তাই নয়, এরপর অভিযুক্ত ওই কিশোরী এবং তাঁর পরিবারের কাছে লক্ষাধিক টাকা দাবিও করে। কিন্তু তা দিতে অস্বীকার করায় তাঁদের হুমকিও দেওয়া হয়।
তবে সেই সময় কিশোরীর বাড়িতে কোনো পুরুষ সদস্য উপস্থিত ছিল না। তাই ঘটনার ১০ দিন পরে ইসলামপুর (Islampur) থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার পরিবার। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ারকে। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
ইসলামপুর (Islampur) থানার পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ারের নাম মহম্মদ নাজমুল। অভিযুক্তকে মঙ্গলবার আদালতে হাজির করা হয়েছিল। তাকে জেল হেফাজতের জন্য আবেদনও জানানো হয়েছিল আদালতে। বিচারক পুলিশের আবেদন মঞ্জুর করেন। তবে ঘটনার ১০ দিন পর কেন অভিযোগ দায়ের করল নির্যাতিতার পরিবার, তার তদন্ত চালানো হচ্ছে। অভিযুক্তের সঙ্গে কোনো পূর্ব পরিচয় ছিল কি না কিশোরীর তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।