খাসডেস্ক: ধর্ষণ ও খুনের মতো ঘটনায় প্রথম ৫ ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এক্ষেত্রে তারা পৌঁছেছিল ৫ দিন পর। এরফলে কিছু তথ্য পাল্টে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। আর জি করে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার মামলায় শীর্ষ আদালতে সংশয় প্রকাশ করল সিবিআই। পাশাপাশি এদিন ফরেন্সিক রিপোর্ট নিয়েও প্রশ্ন তোলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কে নমুনা সংগ্রহ করেছিল সেই বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান তাঁরা। এদিন সিবিআই এর হয়ে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। সিবিআইয়ের (CBI) হয়ে তিনি আদালতে বলেন, ‘‘আমাদের কাছে ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্ট রয়েছে। সকাল সাড়ে ৯টায় যখন মেয়েটির দেহ মেলে, তখন তাঁর জিন্স এবং অন্তর্বাস খোলা ছিল। সেগুলো পাশে পড়েছিল। অর্ধনগ্ন শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। তারা (কলকাতা পুলিশ) নমুনা নিয়েছিল। তারা পশ্চিমবঙ্গের সিএফএসএল (সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি)-এ পাঠিয়েছিল সেই নমুনা। সিবিআই ওই নমুনা এমস এবং অন্য কিছু গবেষণাগারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’’
আরও পড়ুন: দাবি করলেই দাবি মানা নয়, সিপির পদত্যাগ নিয়ে ঘুরপথে বার্তা রাজ্যের পুলিশমন্ত্রীর
মামলার শুনানি চলাকালিন, প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানতে চান, সিবিআই ঘটনার দিনের সিসিটিভি ফুটেজ পেয়েছে কিনা। উত্তরে সিবিআই জানায় তাঁরা মোট ২৭ মিনিটের চারটি ক্লিপিং পেয়েছেন। এদিকে রাজ্য জানায় তদন্ত সংক্রান্ত যা যা তথ্য ছিল তার সবই তুলে দেওয়া হয়েছে সিবিআই এর হাতে। প্রসঙ্গত গত ৯ ই অগাস্ট তরুণী চিকিৎসকের দেহ মেলার পর তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশ। ১২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হয় কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে। হেডফোনের ছেঁড়া তার থেকে প্রাথমিকভাবে চিহিৃত হন সঞ্জয়।
আরও পড়ুন:পুলিশের টাকা অফারের বিষয়টি নিয়ে কী বলল সুপ্রিম কোর্ট
এরপর ক্রমশই তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়। কলকাতা পুলিশের হাত থেকে তদন্তভার যায় সিবিআই (CBI) এর হাতে। একটানা ১৫ দিন জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার হন আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। সন্দীপের সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার হন আরও ২ জন, বিপ্লব সিং ও সুমন হাজরা।