খাসডেস্ক : আরজি কর (R G KAR) কাণ্ডে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকদের কাছে আলাদা আলাদাভাবে ব্যাখা চেয়ে রিপোর্ট তৈরি করেছে সিবিআই (CBI)। তরুণীর শরীরের আঘাতগুলো কিসের। আলাদাভাবে জানার চেষ্টা করা হয়েছে। নিহত তরুণী চিকিৎসকের ময়নাতদন্ত নিয়ে আগেই প্রশ্ন উঠেছিল। জানা যাচ্ছে, আর জি কর থেকে ময়নাতদন্তের যে রিপোর্ট মিলেছিল, তা দিল্লি ও কল্যাণী এমসের ফরেন্সিক বিভাগের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পরীক্ষা করানো হয়েছে। রিপোর্টে যে বিষয়গুলি উল্লেখ করা হয়েছে, তার ব্যাখ্যা চেয়ে জানার চেষ্টা করেছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তকারী তিন চিকিৎসককে একাধিকবার তলব করেছে সিবিআই।
আরও পড়ুন : কোন সংস্থাকে বরাত, চুক্তিপত্রের সবিস্তার, BMW নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্যভবনকে চিঠি CBI এর
তদন্তের সূত্র ধরেই উঠে এসেছে ময়নাতদন্ত কমিটির (POST MORTEM COMMITTEE )চেয়ারম্যান চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস ৯ অগস্ট সন্দীপ ঘোষের ঘরে বার বার গিয়েছিলেন। ময়নাতদন্তের আগে সন্দীপ ঘোষের ঘরে বসেছিলেন ঘণ্টাখানেক । ময়নাতদন্তের পরপরই দেখা করেছিলেন সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে। আধ ঘণ্টা মতো সময় কাটিয়ে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তৈরি করেছিলেন। এর পর ফের সন্দীপের ঘরে গিয়ে ঘণ্টা দেড়েক সময় কাটিয়ে ছিলেন অপূর্ব। ময়নাতদন্তের আগে ও পরে বার বার কেন সন্দীপ ঘোষের ঘরে ছুটে যাওয়া তদন্তকারীদের মনে প্রশ্ন তুলেছে।
আরও পড়ুন: নতুন ওসি পেল টালা থানা, অভিজিৎ গ্রেফতারির পর অ্যাডিশনাল ওসি হিসেবে কাজ করেছেন মলয়
এদিকে জানা গিয়েছে তরুণীর শরীর থেকে সংগৃহীত নমুনাগুলি দুদিন ধরে মর্গে রাখা ছিল। কেন সেগুলি পুলিশ নিয়ে গেল না। কেন আরজি করের (R G KAR) মর্গে ফেলে রাখা হল। আরও জানা যাচ্ছে, দু’দিন পরে মর্গ থেকে নমুনাগুলি পুলিশকে হস্তান্তর করেছেন অপূর্ব একাই। প্রত্যেক নমুনার উপরে যে সিল করা হয়েছে, তাতে একমাত্র সই অপূর্বেরই। ফলে ওই নমুনার বিষয়ে তিন জনের উপস্থিতির বিষয়টি আর গ্রাহ্য হচ্ছে না।