খাসডেস্ক: ২৩ শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজত সন্দীপ ঘোষ (SANDIP GHOSH) সহ চারজনের। সন্দীপ ঘোষ, আফসার আলি, বিপ্লব সিং, সুমন হাজরাদের নিজাম প্যালেস থেকে আলিপুর সিবিআই কোর্টে সশরীরে হাজির করানো হয় মঙ্গলবার। আর জি করে দুর্নীতি কারবারে সন্দীপ ঘোষের বেশ কিছু সহযোগীর ভূমিকা উঠে এসেছে। সেই যুক্তি দেখিয়ে সন্দীপদের এখনই হেফাজত চাইল না সিবিআই। আরও তথ্য প্রমাণ পেলে ভবিষ্যতে সন্দীপদের হেফাজত চাওয়া হবে। সেই জন্য ৭ দিন সময় বাঁচিয়ে রাখল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে এমনটাই দাবি করে সিবিআই এর আইনজীবী। এরপরই বিচারক সন্দীপদের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: এই ল্যাপটপই হতে পারে দুর্নীতির বড় প্রমাণ, ইডির হাতে নতুন অস্ত্র
সিবিআই এর আইনজীবী জানান, ডিজিটাল এভিডেন্স ক্লোনিং করার আবেদন করা হয়েছে। সেটা সময়সাপেক্ষ। তাই সেই রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত জেলে রাখা হোক। কিন্তু এভাবে কী ভেঙে ভেঙে অর্থাৎ দিন বদলে বদলে হেফাজতে নেওয়া সম্ভব? ভারতীয় ন্যায় সুরক্ষা সংহিতার ১৮৭ ধারার ২ উপধারা অনুযায়ী তদন্তকারী সংস্থাকে এই সুবিধা দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন হলে ১৪ + ৬০ দিনের হিসাবে হেফাজতে নেওয়া যেতে পারে। প্রেসিডেন্সি জেলে পাঠানো হবে ৪ জনকে।
আরও পড়ুন: ১৫ মাস পর মুক্তি, গরুপাচার মামলায় দ্বিতীয় জামিন সুকন্যার
৩ রা সেপ্টেম্বর সশরীরে আলিপুর কোর্টে হাজির করানো হয়েছিল সন্দীপদের । সেবার প্রবল ধাক্কাধাক্কি, হুলুস্থূলু শুরু হয় আদালত চত্বরে। একদল লোক স্লোগান দিতে দিতে এগিয়ে আসে সন্দীপ ঘোষের (SANDIP GHOSH) দিকে। অভিযোগ ভিড়ের মধ্যে থেকে কেউ একজন সন্দীপ ঘোষের মাথায় চাটিও মারেন। কোনক্রমে সেই ভিড় থেকে সন্দীপ ঘোষকে বের করে নিয়ে যান সিবিআই আধিকারিকরা। প্রবল জনরোষ রয়েছে সন্দীপের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি আগাম আঁচ করেই কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট দিনে নিজাম প্যালেস থেকে বেরোবার সময় ও কোর্ট থেকে বেরোবার সময় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। অতীতের অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখে সিবিআই এর তরফে মৌখিক ও লিখিতভাবে সন্দীপদের ভার্চুয়ালি পেশ করার আবেদন করা হয় বিচারকের কাছে। সেই আবেদন খারিজ করে সন্দীপদের সশরীরে হাজির করানোর নির্দেশ দেন বিচারক। এদিনও আদলত কক্ষে সন্দীপের বিরুদ্ধে মহিলা আইনজীবীরা স্লোগান দিতে শুরু করেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে শেষপর্যন্ত বিচারককে আসরে নামতে হয়।