খাসডেস্ক: আরজি কর (R G KAR) কাণ্ডে তরুণী চিকিৎসকের পরিবারের তরফে সুপ্রিম কোর্টে লড়বেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্না আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার (BRINDA GROVAR)। আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের বদলে বৃন্দাকে বাছলেন নির্যাতিতার পরিবার। তাঁর দীর্ঘ কেরিয়ারে তিনি নারী ও শিশুদের উপর হওয়া অত্যাচার নিয়ে লড়াই করেছেন।
আরও পড়ুন: আরজি করের মর্গ কর্মীকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ, ওইদিন কী দেখেছিলেন সন্তোষ
জানা যাচ্ছে এই আইনি লড়াইয়ের জন্য তিনি নির্যাতিতার পরিবারের কাছ থেকে একটি টাকাও ফিস নেবেন না। বিদেশ থেকে আইনে উচ্চতর শিক্ষা লাভ করেছেন বৃন্দা। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট স্টেফেনস কলেজ থেকে আইনের ডিগ্রি লাভের পর নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৯ সাল থেকে দেশের ট্রায়াল কোর্টে প্রাকটিস শুরু করেন। সেখান থেকে হাইকোর্ট ও পরবর্তী সময়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসাবে উত্থান। তাঁর কেরিয়ারে উল্লেখযোগ্য মামলাগুলি হল ১৯৮৭ সালের হাসিমপুরা পুলিশ হত্যা মামলা, ২০০৪ সালের ইসরাত জাহান মামলা, ২০০৮ সালে কান্দামালে খ্রিস্টান বিরোধী দাঙ্গা মামলা, বিলকিস বানো মামলা। বিলকিস বানো মামলায় ১১ জন ধর্ষকের মুক্তির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে গুজরাট সরকারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যান বিলকিস বানো। সুপ্রিম কোর্টে বৃন্দা গ্রোভার (BRINDA GROVAR) বলেছিলেন গুজরাট সরকারের এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ বেআইনি।
আরও পড়ুন : ফের ফোরফ্রন্টে ‘কেষ্টা’, পার্টি অফিস থেকে সরল কোর কমিটির সদস্যদের ছবি
একজন আইনজীবী হিসেবে শুধু নয়। আইন তৈরি ও সংশোধনেও তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ২০১২ সালে শিশুদের যৌন হেনস্থা থেকে সুরক্ষা, ২০১০ সালে নির্যাতন প্রতিরোধ বিলের সংশোধনীর খসড়া তৈরিরও অংশ ছিলেন আইনজীবী বৃন্দার । ২০১৩ সালে টাইম ম্যাগাজিনের বিশ্বের ১০০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের তালিকাতেও ঠাঁই হয়েছিল বৃন্দা গ্রোভারের (BRINDA GROVAR)।