মালদহ: পণের দাবিতে ফের গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ। শ্বশুরবাড়ির বাড়তি অর্থের লালসা আবারও প্রাণ কাড়ল এক গৃহবধূর। অভিযোগ উঠল তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের মোথাবাড়ির রথবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের আইলপাড়া এলাকায়। ঘটনায় জেরে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
আরও পড়ুনঃ আদালতের ভয়ে মুখে উলটো কথা বলছেন Abhisekh Banerjee, দাবি প্রিয়াঙ্কার
জানা গিয়েছে, তিনবছর আগে বাগিচাপাড়ার বাসিন্দা মুকশেদের সঙ্গে বিয়ে হয় জেসমিনের। তাদের দেড় বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য জেসমিনের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। অত্যাচারের মাত্রা এতটাই চরম পর্যায়ে পৌঁছায় যে আর সহ্য করতে না পেরে কয়েকমাস আগে বাপের বাড়ি চলে আসেন গৃহবধূ জেসমিন। এই অবধি সবই ঠিকঠাকই চলছিল। ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার।
আরও পড়ুনঃ কী পদ্ধতি বা উপায়ে পাবেন কাতার বিশ্বকাপের টিকিট, জেনে নিন
গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার জেসমিনকে ফোন করে ডাকে তার স্বামী। আর আজ সকালেই গ্রামের একটি আমবাগানের পাশে পুকুর পাড় থেকে উদ্ধার হয় জেসমিনের মৃতদেহ। এরপরই মেয়ের পরিবারের তরফে, শ্বশুরবাড়ির লোকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী সহ তিনজনকে আটক করেছে মোথাবাড়ি থানার পুলিশ। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
অন্যদিকে, জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে দিনের আলোয় খুন হতে হল এক বৃদ্ধকে। নদিয়ার শান্তিপুর থানার হরিপুর অঞ্চলের ব্রম্য শাসন এলাকার ঘটনা। জানা যায়, ওই এলাকায় একটি জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল। শান্তিপুর হরিপুর অঞ্চলের মনসাতলা এলাকার ঘোষপাড়ার স্থানীয় বাসিন্দা কার্তিক সাঁতরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে জমি সংক্রান্ত বিবাদের কারণে কিছু ব্যক্তি তাকে মারধর করে ব্রম্য শাসন এলাকার একটি মাঠে ফেলে রেখে যায়।
পরবর্তীতে স্থানীয়দের তৎপরতায় তাঁকে উদ্ধার শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন ওই ব্যক্তি। অবশেষে বৃহস্পতিবার রাত্রি নটা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। মৃতের পরিবারের তরফে রাতেই শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।