কাঁথি: নাবালিকাদের নিয়ে গেস্ট হাউসে দেহ ব্যবসা চালানোর অভিযোগ উঠল। পুলিশি হানায় ধরা পড়ল অভিযুক্তেরা। এটি এক বড়সড় সাফল্য কাঁথি থানার পুলিশের। এই ঘটনায় বাড়ির মালিক, এক নাবালক সহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে নাবালিকাদের। সম্পূর্ণ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঁথির (Kanthi) খাগড়াবনি এলাকায় একটি গেস্ট হাউসের দীর্ঘদিন ধরে দেহ ব্যবসা আসর চলত অভিযুক্তেরা। ফলে সেখানে এলাকার যুবকদেরও আনাগোনা ছিল। শুধু তাই নয় সেখানে বিভিন্ন স্কুলছাত্রীদেরও আসা যাওয়া ছিল। যুবকেরা নাবালিকাদের নিয়ে আসত এই জায়গায়। টাকার বিনিময়ে ঘর ভাড়া দেওয়া হতো তাদের। তারপর চলত অবৈধ কাজকর্ম। গত বৃহস্পতিবার দুপুরেও এরকমই আসর বসেছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের খবর পেয়ে পুলিশ পুরো বাড়িটি ঘিরে ফেলে।
কাঁথি থানার পুলিশ জানিয়েছে, পুলিশ গিয়ে তিনজন নাবালিকাকে উদ্ধার করে বাড়িটি থেকে। পাশাপাশি একাধিক জিনিসপত্রও বাজেয়াপ্ত করা হয় সেখান থেকে। চারজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে তারা। অভিযুক্তদের তিন জন বিপুল জানা, গুড্ডু বারিক এবং মঞ্জুর আলি। তারা কাঁথির কানাইচট্ট গ্রামের, জগন্নাথপুর গ্রামের এবং খাগড়াবনি গ্রামের বাসিন্দা। গ্রেফতার নাবালক এক স্কুল ছাত্র। এমনটাই দাবি পুলিশের।
এই ঘটনা সামনে আসার পর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শুক্রবার ধৃতদের কাঁথি মহাকুমা আদালতে তোলা হয়েছিল। বিচারক বাড়ীর মালিকের জামিন নাকচ করে চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। বাকি দুজনেরও জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ধৃত নাবালককে জুবিনাইন আদালতে পাঠানো হয়। তবে উদ্ধার হওয়া নাবালিকাদের হোমে পাঠানোও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
এই ঘটনায় কাঁথি থানার আইসি প্রদীপ কুমার দান বলেন, “পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনা সঙ্গে আরো কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” যদিও তদন্তের কারণে মুখ খুলতে রাজি হননি তিনি।