পায়েল লায়েক, গঙ্গাজলঘাটি: তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে সিন্ডিকেটের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে৷ অভিযোগ তুলেছে বিরোধী দল বিজেপি৷ যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ঘাসফুল শিবির৷ তাদের পাল্টা অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে৷ ঘটনাস্থল বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি৷
জমিতে যাওয়াই মুশকিল৷ কোন জায়গায় ৫ ফুট ছাই আবার কোন জায়গায় ১০ ফুট আগাছায় ভর্তি জমি। সঠিক কোন ক্ষতিপূরণ নেই মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পক্ষ থেকে। বারবার ডিভিসির গেটে ধাক্কা দিয়েও কোনো লাভ হয়নি। দীর্ঘদিনের লাগাতার সমস্যা এই ছাই। ডিভিসির অ্যাসপন্ড থেকে নির্গত হয়ে বিঘার পর বিঘা চাষযোগ্য জমি একেবারে নষ্ট হয়ে ছাই জমিতে পরিণত হয়েছে। এমনটাই অভিযোগ সারঙ্গপুর গ্রামের কৃষক মনোহর মণ্ডল, পরেশ দে-দের৷
এই ছাই নিয়ে এলাকার ৮ থেকে ১০ টি গ্রামের কৃষকরা এক ভয়ঙ্কর রাজনীতির শিকার হচ্ছেন। মাঝে মাঝে আন্দোলন হয়, আবার স্থানীয় নেতৃত্বদের হস্তক্ষেপে সেই আন্দোলন স্তিমিতও হয়। ঠিক কি কারণে অসহায় কৃষকদের সঙ্গে অকথ্য রাজনীতি? কোনো উত্তর নেই কারোর কাছে। বিরোধীরা দোষ চাপায় শাসকদের উপর, আবার শাসকরা দোষ চাপাচ্ছে বিরোধীদের উপর। এমনটাই অভিযোগ উঠছে৷
অন্যদিকে গঙ্গাজলঘাটির হাঁসপাহাড়ি মোড়ে সেই ছাইয়ের কারণে দিনের বেলায় গাড়িতে জ্বালাতে হয় হেডলাইট। বিগত ১০ বছরের খতিয়ানে কত যে আহত-নিহত হয়েছেন তার কোনো হিসেব নেই৷ যদিও এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্র সরকারর৷
বিজেপি নেতা সুজিত বাবু বলেন, ‘‘তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ঠিক করার জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে৷ রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের একটি সিন্ডিকেট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বালি দেয়৷ ঠিকাদারদের ভয় দেখিয়ে এই সমস্ত কাজকর্ম করছে শাসকদল৷ এখানে বিজেপির কোনো হাত নেই৷’’
অন্যদিকে নিত্যানন্দপুর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি দেবদাস বাজপাই বলেন, ‘‘যেহেতু কেন্দ্র সরকার নেতৃত্বাধীন এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। সেখানে শাসক দলের সম্পর্ক কোথা থেকে আসে। আমরা এর আগে বহুবার কৃষকদের নিয়ে আন্দোলন করেছিলাম। দুবছর আছে চাষিদের কিছু ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু সেই ক্ষতিপূরণ যথেষ্ট ছিল না৷ তাই আমরা আজও বলছি ছাই পরিষ্কার করে জমি ফেরত দিক কৃষকদের৷’’