খাসডেস্ক: বাঁশদ্রোণীতে (bansdroni) সকালে পে লোডারের ধাক্কায় ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা্ থেকে শুরু হয়েছিল উত্তেজনা। এরপর সময় যত গড়িয়েছে ক্রমশই জটিল হয়েছে পরিস্থিতি। বিক্ষোভকারীদের দাবি ঘটনাস্থলে আসতে হবে কাউন্সিলর অনিতা কর মজুমদারকে। খবরটি লেখা পর্যন্ত দেখা পাওয়া যায়নি ১১৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে।
আরও পড়ুন: ইরানের আক্রমণ থামাতে ‘ব্যর্থ’, UN সচিবের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল বেঞ্জামিন নেতানহুর দেশ
এলাকায় রাস্তা মেরামতির কাজ চলছিল। সকাল সকাল টিউশনে যাওয়ার পথে পে লোডারের ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক নবম শ্রেণির ছাত্রের। বাঁশদ্রোণীর রাস্তা যন্ত্রণা দীর্ঘদিনের। ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় তাতে পড়ে ঘৃতাহুতি। শুরু হয় ভাঙচুর, বিক্ষোভ। ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার প্রদীপ ঘোষাল। তাঁকে ঘিরে স্থানীয়েরা বিক্ষোভ দেখালে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয় বাঁশদ্রোণীতে। এরপর বিশাল বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান কলকাতা পুলিশের দক্ষিণ শহরতলির ডিসি বিদিশা কলিতা দাশগুপ্ত ।
আরও পড়ুন: মহালয়ার দুপুরে নির্যাতিতার বাড়িতে সিবিআই টিম, কথাবার্তা চলল বেশ কিছুক্ষণ
তিনি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন, তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেন ও আশ্বাস দেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান ছাত্র মৃত্যু ঘিরে যখন বিক্ষোভ চলছিল সেইসময় একদল মানুষ তাঁদের উপর হামলা চালান। যদিও তাঁদের রাজনৈতিক পরিচয় স্পষ্ট নয়। হামলার ঘটনা থেকে বাদ যাননি মহিলারাও। এমনকি রাস্তার পাশে এক মহিলাকে পড়ে থাকতেও দেখা যায়। এসিপিকে ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ। আগেই পাটুলি থানার ওসিকে কাদা জলে দাঁড় করিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দের ধস্তাধস্তি হয় বলেও জানা যায়। এক কনস্টেবলকে পেটানোর অভিযোগ উঠে আসে। যদিও স্থানীয়দের একাংশ বলেন, গায়ে হাত তোলার ঘটনাটি তাঁদের তরফ থেকে প্রথমে হয়নি। বলাবাহুল্য যে ভাবে উত্তেজনা বাড়ছে তাতে কোন পরিস্থিতিতে গিয়ে দাঁড়ায় বাঁশদ্রোণীর (bansdroni) বিক্ষোভ সেটাই এখন দেখার।