কলকাতা: হাসিনা দেশ ছাড়ার পর আরও অশান্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। একেবারে কোণঠাসা সেখানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। ভাঙা হচ্ছে গাড়ি, বাড়ি, পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে মন্দির। এক কথায় আতঙ্কের পরিবেশ দেশজুড়ে। এই আবহেই বহু বাংলাদেশী ভারতে আসতে চাইছেন। ঠিক এই এই কারনেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। এর মধ্যে সামনে এল ভয়ানক খবর। বিএসএফের কাছে এসেছে ১৫ জনের তালিকা যারা ভারতে অনুপ্রবেশ করতে পারেন। চমকের ব্যাপার হল এদের মধ্যেই জঙ্গি। যারা ভারতের প্রবেশের চেষ্টা করছে।
শুল্ক দফতরের এক অধিকর্তা বাংলাদের সাম্প্রতিক ঘটনা প্রসঙ্গে বলেছেন, “ বাংলাদেশে যা হচ্ছে এটা ছাত্র আন্দোলন নয়। এই ঘটনার পিছেনে রয়ছে জামাতি সন্ত্রাসবাদীরা । জামাতদের সংখ্যাই বেশি মালদহ সংলগ্ন বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ, শিবগঞ্জ এলাকায় । ফলে মালদহ-সহ বাংলাদেশের এইসব এলাকাকে আশ্রয় করে অন্যত্র হামলা বা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ করে।” গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন যে ১৫ জনের তালিকা হাতে রয়েছে তারা মালদহ বা হিলি সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকতে পারেন। এই কারণে বিএসএফ-কে উচ্চ সতর্কতায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন কেউ প্রাণ বাঁচাতে আবার কেউ কেউ এই ফাঁকে সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে দিতে ভারতে আসতে চাইছে। বাংলাদেশের কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া জঙ্গি, অপরাধীরা ঢুকতে পারে বলেও খবর মিলেছে।
দিন-রাত এক করে বাংলাদেশ সীমান্তে টহল দিচ্ছে বিএসএফ-এর জওয়ানরা। রাতে জলেও চলছে নজরদারি। পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারও। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যসচিব,স্বরাষ্ট্র সচিব এবং ডিজিকে নিয়ে নবান্নে এক উচ্চপর্য়াযের বৈঠক করেছেন। সূত্রের খবর,নবান্ন সোমবার ডিআইজি এবং তার উচ্চস্তরের পদমর্যাদার অফিসারদের সীমান্তবর্তী এলাকার থানাগুলিতে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল । সীমান্ত বিএসএফ-এর হাতে থাকলেও যেহেতু বাংলার সঙ্গে বাংলাদেশ অনেকেটাই সীমান্ত শেয়ার করে তাই পশ্চিমবঙ্গ সরকার পুলিশকে বিশেষ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে।