উত্তর দিনাজপুর: পার্সেল খুলতেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ। শুক্রবার চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদে। বোমা বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন তিন জন। এবার এই ঘটনার তদন্ত নেমেছে সিআইডি। সবদিক খতিয়ে দেখতে শনিবার ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সিআইডির একটি তদন্তকারী দল। পাশাপাশি, এই বিস্ফোরণের জেরে শনিবার এলাকার ব্যবসায়ীদের লাগাতার প্রতিবাদ চলছে। নিজ-নিজ প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বনধ কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা।
আরও পড়ুনঃ Swasthya Sathi: সরকারের হম্বিতম্বিই সার, নার্সিংহোমে মিলছে না স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের পরিষেবা
হেমতাবাদের বাহারাইল গ্রামে ওষুধের ব্যবসা করেন বাবলু চৌধুরী। বাবলুর ওই ওষুধের দোকানে একটি পার্সেল নিয়ে আসেন এক টোটোচালক। সেই সময় বাবলুবাবু দোকানে ছিলেন না। বাবলুর দাদা আশরফ আলি চৌধুরী দোকানে ছিলেন। তিনি পার্সেলটি নেন। তার কিছুক্ষণ পরই বাবলু দোকানে এসে পার্সেলটি খোলেন। তখনই বিপত্তি। ভয়াভহ বিস্ফোরণ কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। জখম হন ওই দোকানে থাকা বাবলু চৌধুরী, তপন রায় ও মহম্মদ সফুর। ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী হেমতাবাদের বাহারাইল গ্রামে এই ধরনের ঘটনা ঘটায় উদ্বিগ্ন পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ Rain: অসময়ে বৃষ্টি, বিপুল ক্ষয়ক্ষতির মুখে গ্রামবাংলার কৃষকরা
স্বাবাভিকভাবেই প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে এই ধরনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, এটি একটি আইইডি বিস্ফোরণ। এলাকায় অপ্রিতিকর ঘটনা এড়াতে মোতায়ন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। জেলা পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের পাশাপাশি তদন্তে নেমেছে গোয়েন্দা বিভাগও।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, যখন টোটোচালক পার্সেলটি দিতে এসেছিল, তখন সেই টোটোয় একজন মহিলা যাত্রী ছিল। পুলিশ ওই টোটো, টোটোচালক ও মহিলা যাত্রীকে খুঁজছে। ঠিক কী কারণে এই বিস্ফোরণ পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। কোনও ব্যক্তিগত শক্রতা ছিল কিনা, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও উদ্দেশ্য রয়েছে, তাও পুলিশ খতিয়ে দেখছে। তবে এখনও পর্যন্ত সেই টোটো চালকের কোনও হদিশ মেলেনি।