
নদিয়া: তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনার পর অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে ৪০ ঘণ্টা৷ অবশেষে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ৷ গভীর রাতে নদিয়ার থানারপাড়া থানা এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার (Arrest) করে পুলিশ৷ ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ৷
অভিযুক্তেকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে৷ এই ঘটনায় আর কে বা কারা জড়িত আছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷ পাশাপাশি বাকি অভিযুক্তরা কোথায় গা ঢাকা দিয়েছে তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে৷ শনিবার গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিকে আদালতে তোলা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে৷
উল্লেখ্য, টিয়াকাটাঘাট এলাকায় দুষ্কৃতিরা তৃণমূল নেতা মতিরুল এবং তাঁর দেহরক্ষীকে ঘিরে ধরে। এরপর তাঁদের লক্ষ্য করে একাধিক বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। এরপরেও মতিরুলকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় তারা। এই ঘটনায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এলাকাবাসী।
তারপর তৃণমূল নেতাকে গুরুতর আহত অবস্থায় মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই খুনের ঘটনায় পিছনে তৃণমূলের অন্তর্কলহকে দায়ী করেছেন বিরোধীরা। তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
অন্যদিকে, এই ঘটনায় CID তদন্তের দাবি তুলেছেন তৃণমূল নেতার পরিবারের সদস্যরা। তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। ইতিমধ্যেই পরিবারের পক্ষ থেকে নওদা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। নওদা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শফিউজ্জামান শেখ ও নদিয়া জেলা পরিষদের সদস্য টিনা ভৌমিক সাহা-সহ মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন স্ত্রী রিনা বিশ্বা, যিনি বর্তমানে নারায়ণপুর–২ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান।