খাসডেস্ক: গরুপাচার মামলায় প্রথম জামিন পেয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মনীশ কোঠারি। গ্রেফতারির ৬ মাস পর দিল্লির তিহাড় জেল থেকে মিলেছিল মুক্তি। অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলও (SUKANYA MONDAL) জামিনের আবেদন জানিয়ে ছিলেন। কিন্তু সেবার হতাশ হতে হয়েছিল। গ্রেফতারির প্রায় দেড় বছর পর এবার জামিন পেলেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা। দিল্লি হাইকোর্ট তাঁর জামিন মঞ্জুর করল। বাবা অনুব্রতর মতো গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনিও।
আরও পড়ুন: চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন সীতারাম, তবে বিপদমুক্ত নন আপাতত
২০২৩ এর এপ্রিল মাসে ইডির হাতে গ্রেফতার হন সুকন্যা। দিল্লিতে তাঁকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়। ওই একই মামলায় সিবিআই এর হাতে সাড়ে আট মাস আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন সুকন্যার বাবা অনুব্রত। বীরভূমের কেষ্টর গ্রেফতারির পর সুকন্যাকে বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লিতে ডেকে পাঠায় সিবিআই। তারা দাবি করেন, বিপুল সম্পত্তি সম্পর্কে কেষ্ট-কন্যার কাছে তথ্য রয়েছে। কিন্তু তিনি প্রশ্নের সদুত্তর দিচ্ছেন না। সুকন্যা নাকি জানান, সম্পত্তি সংক্রান্ত সব প্রশ্নের উত্তর তাঁর বাবা এবং হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিই দিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: এই ল্যাপটপই হতে পারে দুর্নীতির বড় প্রমাণ, ইডির হাতে নতুন অস্ত্র
এদিকে ২০১৩–১৪ সাল থেকে বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন বোলপুরের বাসিন্দা মণীশ কোঠারি। তারপরই তাঁর সম্পত্তি বৃদ্ধি পায় বলে অভিযোগ। ইডি সূত্রে খবর, গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করার পিছনে মণীশের সক্রিয় ভূমিকা ছিল।প্রসঙ্গত মনীশ কোঠারি, অনুব্রত মণ্ডল, সুকন্যা, সকলেই তিহাড় জেলবন্দি ছিলেন। মনীশ কোঠারির মুক্তির পর অনুব্রতর জামিন কবে, সেই নিয়ে দ্রুত কানাঘুষো শুরু হয়। তবে জামিন পাননি কেষ্ট। সুকন্যার (SUKANYA MONDAL) জামিনের পর কেষ্টর জামিনের জল্পনাতে ঘৃতাহুতি দিল।