বাঁকুড়া: কুকথা থেকে পিছিয়ে আসা তো দূরের কথা, বিজেপিতে কুকথার স্রোত ক্রমে বাড়ছে। বিরোধীদের আক্রমণ করতে গিয়ে লাগামহীন কথাবার্তা বলে বসেন বিজেপির নেতা-নেত্রীরা। বুধবারের পর রবিবার ফের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে বসেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। এদিন বসিরহাটে বিজেপির অভিনন্দন যাত্রায় এসে বুদ্ধিজীবীদের বেনজির ভাষায় আক্রমণ করলেন তিনি। প্রকাশ্য মঞ্চে বুদ্ধিজীবীদের ‘মমতার কুকুর’ বলে আখ্যা দেন তিনি ।
পরে তাঁকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তার উত্তরে তিনি বলেন, “আমি আবারও বলছি, যে সমস্ত বুদ্ধিজীবীরা নিজেদের বুদ্ধিজীবী মনে করেন অথচ কামদুনির মতো ঘটনার বেলায় চুপ থাকেন বা পার্কস্ট্রিট কাণ্ডে চুপ থাকেন, তেহট্টে বোমাবর্ষণের সময়ে চুপ থাকেন– তাঁরা তৃণমূলের কুকুর ছাড়া কিচ্ছু না। যেমন একজনকে বলা হতো ‘তেজোর কুকুর’, সেটা দেশব্যাপী নয় বিশ্বব্যাপী জানত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুত্তা এই বুদ্ধিজীবীরা সিএএ-র বিরোধিতা করছেন। তাঁদের মমতা ব্যানার্জীর কুত্তা ছাড়া আর কিছুই বলার নেই।”
সম্প্রতি নাগরিকত্ব আইন নিয়ে জেলায় জেলায় অভিনন্দন যাত্রার আয়োজন করা হচ্ছে বিজেপির তরফে। রবিবার বসিরহাটে ছিল গেরুয়া শিবিরের এই অভিনন্দন যাত্রা। কাছারিপাড়া থেকে এই মিছিলে পা মেলান বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, জয়প্রকাশ মজুমদার-সহ দলের নেতা-কর্মীরা। মিছিল শেষে একটি সভায় যোগ দেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ।
সেখানেই নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে সুর চড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন তিনি। এনআরসি ও সিএএ নিয়ে বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। বর্তমান রাজনীতিতে শালীনতার মাত্রা কমছে দিনে দিনে। আলটপকা মন্তব্যের ঝড় উঠছে জাতীয় রাজনীতিতে। তার সঙ্গে চলছে উস্কানিমূলক মন্তব্যও। বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের ‘জঘন্য’ ভাষায় আক্রমণ করা হচ্ছে ক্রমাগত। আর এই তালিকায় বিজেপির নাম প্রথমেই আসে। সমাজের বুদ্ধিজীবীদের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে অশালীন মন্তব্য করে বসলেন বিজেপির এই সাংসদ।