বাঁকুড়া: আর.জি.কর কান্ড নিয়ে সারা বাংলা যখন তোলপাড় ঠিক সেই সময়ই রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে খবর আসছে বহিরাগত প্রবেশের। বর্তমানে হাসপাতাল (Hospital) চত্বরগুলিতে বহিরাগত প্রবেশ রুখতে তৎপর প্রশাসন। আর এই সময়ই প্রশাসনের নজর এড়িয়ে দুঃসাহসিকভাবেই চলছে তাদের প্রবেশ। তবে কী কোনো বড়ো নেতা মন্ত্রীদের হাত রয়েছে এই বহিরাগতদের মাথার ওপর? অগ্নিগর্ভ বাংলায় দুঃসাহসিকভাবে কীভাবে অবাত যাতায়াত করছে বহিরাগতরা? প্রশ্ন জাগছে সাধারণ মানুষের মনে।
গত সোমবার মধ্য রাতে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের মহিলা হোস্টেলে (Hostel) বহিরাগতের প্রবেশে আতঙ্ক ছড়িয়েছে আবাসিকদের মধ্যে। এই দিন রাত আড়াইটে নাগাদ আচমকাই এক ব্যক্তি মুখে কাপড় বেঁধে হোস্টেলের পিছন দিকের পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢুকে পড়ে। তাঁকে দেখতে কয়েকজন আবাসিক চিৎকার করলে ওই ব্যক্তি পালিয়ে যায়। তৎক্ষনাৎ খবর দেওয়া হয় হাসপাতাল সুপারকে। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় থানায়ও। পুলিশ (Police) এসে তল্লাশি চালিয়েও কাউকে আটক করতে পারেনি।
ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা হোস্টেল (Hostel) চত্বরে। এই ঘটনার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি ব্যবস্থা করে হোস্টেলের পাঁচিলে কাঁটাতার বসায়। এমনকি যে দিক দিয়ে ওই বহিরাগত প্রবেশ করেছিল সেই জায়গায়ও কোনো সিসিটিভি (CCTV) না থাকায় সেখানেও ইতিমধ্যেই বসানো হয়েছে বাড়তি নজরদারি ক্যামেরা।
এই বিষয়ে হাসপাতাল সুপার বলেছেন, “ওই হোস্টেলের সামনের দিকে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেও পিছনের দিকে ছিল না। তাই আমরা এবার হোস্টেলের পিছনেও সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি, হোস্টেল চত্বরে পাঁচিলের ওপর কাঁটাতারের বেড়াও দিয়ে দেওয়া হবে।”