পলাশ নস্কর, রাজারহাট: ২০১০ সালে এলাকাবাসীকে পরিষেবা দিতে তৎকালীন রাজারহাট গোপালপুর পুরসভার তরফে একটি অ্যাম্বুলেন্স কেনা হয়। যা সেই সময় ২৯ নং ওয়ার্ডে পরিষেবা দিত। এবার এই অ্যাম্বুলেন্স চুরির অভিযোগ উঠল ওয়ার্ডের প্রাক্তন কো-অর্ডিনেটর তথা তৃণমূল রতন মৃধার বিরুদ্ধে।
অভিযোগ তুললেন তৃণমূলের বর্তমান কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ নাগ। বর্তমানে বিধাননগর পুরনিগমের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ নাগের দাবি, অ্যাম্বুলেন্সটি ২০১০ সালে কেনা হয়। যা তৎকালীন রাজারহাট গোপালপুর পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষকে পরিষেবা দিত। সেই সময় ওয়ার্ডের সিপিআইএমের কাউন্সিলর ছিলেন মৌসুমী সাহা। এবং ওয়ার্ড সচিব ছিলেন তপন সাহা।
পরবর্তী সময় রাজারহাট গোপালপুর এবং বিধাননগর পুরসভার সঙ্গে মিশে বিধাননগর পুরনিগম গঠিত হয়। অভিযোগ, অ্যাম্বুলেন্সটি বিধাননগর পুরনিগমকে হস্তান্তর করা হয়নি। অ্যাম্বুলেন্সটি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করতেন মৌসুমী সাহা ও ওয়ার্ড সচিব তপন সাহা। পরবর্তী সময় ২০২১ সালে ওই ওয়ার্ডে কো-অর্ডিনেটর নিয়োগ করা হয় তৃণমূল নেতা রতন মৃধাকে।
তৎকালীন রাজারহাট গোপালপুর পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ড বর্তমানে বিধাননগর পুরনিগামের ২০ নম্বর ওয়ার্ড। ওই ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর হন রতন মৃধা। প্রসেনজিৎ নাগের অভিযোগ, এই রতন মৃধা অ্যাম্বুলেন্সটি ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা তো করেনি উল্টে প্রাক্তন কাউন্সিলর মৌসুমী সাহা ও তপন সাহার সঙ্গে যোগসাজশ করে অ্যাম্বুলেন্সটি লোপাট করে দেন।
এই নিয়ে তিনি বিধাননগর মেয়র থেকে শুরু করে কমিশনার এমনকি জেলা শাসকের কাছে অভিযোগ করেন চলতি মাসের ২ তারিখে। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা রতন মৃধার দাবি, তিনি কো-অর্ডিনেটর ছিলেন সেটা বাস্তব। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সের বিষয়ে কিছু জানেন না। এই বিষয় ফোনে তপন সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, একটা অ্যাম্বুলেন্স ছিল। সেটা পুরসভা দিয়েছিল। কিন্তু তাঁরা দায়িত্বে না থাকায় অ্যাম্বুলেন্সটির কি হয়েছে জানেন না। তাঁরাও তদন্ত চান।