মালদহ: আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদে বর্তমানে বিক্ষোভে সামিল গোটা দেশ। আর এই আবহেই বারবার সামনে আসছে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা। এবার এক আদিবাসী নাবালিকাকে প্রাথমিক চিকিৎসার প্রশিক্ষণ দিতে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক হাতুড়ে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতার পরিবার স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের পর ধৃত ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা সহ দলীয় নেতারাও।
ঘটনাটি ঘটেছে মালদহ (Malda) জেলার অন্তর্গত হবিবপুর থানা এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নবম শ্রেণির পড়ুয়া ওই নাবালিকাকে প্রাথমিক চিকিৎসার প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত তার বাড়ির চেম্বারে ডেকে পাঠিয়েছিল। এরপরই ওই নাবালিকা তার বাড়িতে গেলে তখন তাঁকে ধর্ষণ করে ওই হাতুড়ে চিকিৎসক বলে অভিযোগ। কোনো রকমে সেখান থেকে পালিয়ে বাড়ি আসে ওই নাবালিকা। পরিবারের লোকজনদের গোটা বিষয়টি জানালে ক্ষোভে ফেটে পড়ে তাঁরা।
এরপরই নির্যাতিতার পরিবার তড়িঘড়ি হাবিবপুর থানায় গিয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই বিষয়ে হাবিবপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতার পরিবারের করা অভিযোগের ভিত্তিতেই ওই হাতুড়ে চিকিৎসককে আটক করা হয়েছে। ধৃত চিকিৎসকের নাম সুবল মণ্ডল। নাবালিকারও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়েছে ইতিমধ্যেই। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসীরা।
মালদহ (Malda) জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র আশিষ কুণ্ডু এবং রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায় আদিবাসী নাবালিকার এই ধর্ষণের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। উত্তরবঙ্গের জোনাল সভাপতি জানিয়েছেন, ধর্ষণের প্রতিবাদে তাঁরা ধর্না প্রদর্শন করবেন। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মহিলাদের ওপর যৌন নির্যাতনের প্রতিবাদে দেশ জুড়ে আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। তিনি আরও জানিয়েছেন, গত এক সপ্তাহে রাজ্য জুড়ে প্রায় দশ জন আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে।