কুলতলি: আরজিকর কাণ্ডের জেরে বর্তমানে বিক্ষোভে সামিল গোটা দেশ। আর এই আবহেই সামনে আসছে একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটনা। গত শুক্রবার এই রকমই এক ঘটনা সামনে আসতে চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। প্রকাশ্য রাস্তায় এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল দুই যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের পুলিশ গ্রেফতার করেছেন। গোটা ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় থানার পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কুলতলিতে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা ওই নাবালিকা দশম শ্রেনির ছাত্রী। টিউশন থেকে বাড়ি ফেরার সময় আচমকাই টোটোয় দুই যুবক রাস্তার মাঝে তাঁর শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করে। প্রতিবাদ করতে গেলে তাঁর মুখও চেপে ধরে অভিযুক্তরা। এরপর ওই ছাত্রী বাড়ি ফিরে পুরো ঘটনাটি জানায় তাঁর পরিবারকে। তড়িঘড়ি তাঁর বাবা বেরিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় অভিযুক্তদের শনাক্ত করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতেদের নাম ওবাইদুল্লা এবং শাহজাদ নস্কর। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। শনিবার সকালে বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে অভিযুক্তদের।
এরপরই নির্যাতিতার পরিবার কুলতলি (Kultali) থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই বিষয়ে নির্যাতিতা ছাত্রী বলেন, “আমি সেদিন রাস্তা দিয়ে ফিরছিলাম। হঠাৎ ওরা আমার হাত ধরে টানে। চেঁচাতে গেলে মুখ চেপে ধরে।” তবে এই ঘটনার আগেও ওই যুবকেরা তাঁকে রাস্তায় কটূক্তি করত, এমনটাই দাবি নির্যাতিতা ছাত্রীর। কিন্তু এই অভিযোগের কথা অস্বীকার করেছেন অভিযুক্তেরা। দুই অভিযুক্তের একজন এই বিষয়ে বলেন, “আমি থুতু ফেলতে গিয়ে কনুইটা লেগে গিয়েছে। আমি কিছু করিনি। ওরা বাড়ি গিয়ে মুখে হাত দেওয়ার কথা বলেছে। আমি তেমন কিছুই করিনি।”