হুগলি: আরজিকর কান্ডে চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভে সামিল গোটা দেশ। আর এই আবহেই সামনে আসছে একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটনা। এই রকমই এক ঘটনার সাক্ষী হল হুগলিবাসী। টিউশন থেকে বাড়ি ফেরার পথে নাবালিকাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ। বিবস্ত্র ও অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে নাবালিকাকে। পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
গত শুক্রবার রাতে অচৈতন্য অবস্থায় নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়েছে হুগলি জেলার হরিপালের (Haripal) বিডিও অফিস সংলগ্ন গোপীনগর এলাকায়। জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা নাবালিকা নবম শ্রেনির ছাত্রী। ঘটনার দিন গৃহশিক্ষকের কাছে টুউশন পড়তে গিয়েছিল সে। বাড়ি ফেরার সময় অতিবাহিত হয়ে গেলে খোঁজাখুঁজি শুরু করে তাঁর পরিবারের লোকেরা। এরপরই ওই নাবালিকার ফোন থেকে অচেনা কেউ ফোন করে তাঁর বাড়িতে খবর দেয়। তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে হরিপাল গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ওই হাসপাতালে পৌঁছে যায় নাবালিকার পরিজনেরা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় হরিপাল থানার পুলিশ। স্থানীয়দের দাবি, তাঁকে উদ্ধার করার পর তিনি অসংলগ্নভাবে কিশোরী জানিয়েছিল সিঙ্গুর থেকে টিউশন পড়ে বাড়ি ফেরার সময় হঠাৎ একটি চার চাকা গাড়ি তাঁর পাশে এসে দাঁড়ায়। ওই গাড়িতে ছিল বেশ কয়েকজন যুবক। তারা কার্যত জোর করে গাড়িতে তুলে নেয় তাঁকে। তবে এরপরই অচৈতন্য হয়ে যায় তিনি। তাই আর কী হয়েছে তা তিনি সঠিক জানেন না।
হুগলি গ্রামীণ পুলিশ জেলার সুপার বলেন, “নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে একজন মহিলা পুলিশকর্মী নির্যাতিতার বয়ান রেকর্ড করেছেন। ইতিমধ্যে এফআইআরও দায়ের করা হয়েছে। নির্যাতিতার প্রাথমিক শারীরিক পরীক্ষাও হয়েছে। পরে শারীরিক পরীক্ষার জন্য অভিভাবকদের সঙ্গে চন্দননগরে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এক মহিলা অফিসারই তদন্ত করছেন এই ঘটনার। নির্যাতিতার বয়ানে ধর্ষণের কোনও অভিযোগ নেই। তবে শ্লীলতাহানির অভিযোগ রয়েছে।”
সমস্ত ঘটনাটির জেরে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। তবে নাবালিকাকে কে বা কারা অপহরণ করেছে তা নিয়ে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। তবে নির্যাতিতা নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি।