শিলিগুড়ি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাতেই বাংলার মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে ‘দিদিকে বলো’র নম্বর। সাধারণ মানুষের যেকোনো অসুবিধা শুনতে, জানতে ও তার সমাধান দিতে এলাকা এলাকায় পৌঁছে যাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-মন্ত্রীরা। এবার ‘দিদিকে বলো’-তে ফোনের পরই মিলল চাকরি। শিলিগুড়ির চম্পাসারির শুভঙ্কর সরকারের বাবার প্রয়াণের পর উত্তরাধিকারী চাকরির ক্ষেত্রে আসছিল নানান জটিলতা। সেই চাকরিরই ব্যবস্থা হল ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচীর কল্যাণে।
২০১৫ সালে জলদাপাড়া ট্যুরিস্ট লজে কর্মরত সুধাংশু সরকারের প্রয়াণের পর থেকেই তাঁর ছেলে শুভঙ্করবাবু এই চাকরির জন্য আবেদন জানান। কিন্তু নানান সমস্যার ফলে বারবারই আটকে যায় তাঁর নিয়োগ। অবশেষে গত বছর আগস্ট মাসে তিনি এই কর্মসূচীর সহায়তা নেন। তারপরেই পর্যটন দফতর এই প্রক্রিয়াকে এগোনোর ব্যবস্থা নেয়। পরে তাঁর দাবি মেনে নিয়ে গত শনিবার তাঁকে মন্ত্রী গৌতম দেবের দফতরে সরাসরি নিয়ে যাওয়া হয়। রবিবার দিন মৈনাকে তাঁর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়।
নিয়োগপত্র হাতে পাওয়ার পর তিনি জানান, প্রক্রিয়াগত স্তরে অনেক অভিযোগ থাকলেও দিদিকে বলো তে জানিয়ে কাজ হয়েছে। এই কর্মসূচী যে সত্যিই কাজে লেগেছে মানুষের তার প্রমাণ এই যুবক। গৌতমবাবু বলেন, রাজ্যের নানান ধরনের সমস্যা এই কর্মসূচীর মাধ্যমে উঠে আসে। কিছু স্থানীয় স্তরেই সমাধান করা সম্ভব হয় এর কিছু যায় কলকাতায়।