খাস খবর, কলকাতা: টিটাগড়ে বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লাকে হত্যার ঘটনায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটির হদিশ মিলল দত্তপুকুর এলাকা থেকে৷ সম্প্রতি এই খুনের প্রধান পান্ডা অনীশ ঠাকুরকে তামিলনাড়ু থেকে গ্রেফতার করা হয়৷ ধৃতকে জেরা করেই দত্তপুকুর এলাকার একটি বাড়ি থেকে মনীশ খুনে ব্যবহৃত ওয়ান শাটারটি উদ্ধার করেন সিআইডির তদন্তকারীরা৷
আরও পড়ুন- মোদীর সভার আগে রাজ্যপাল-সৌরভ সাক্ষাৎ ঘিরে জল্পনা
গোয়েন্দা সূত্রের খবর, অনীশকে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে৷ খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হওয়ায় শীঘ্রই মণীশ হত্যার কিনারা হতে পারে বলেই গোয়েন্দাদের একটি অংশের মত। তাঁদের মতে, জেরায় ধৃত স্বীকার করেছে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকেই গুলি চালানোর কথা। তবে ব্যবসায়িক নাকি রাজনৈতিক ঠিক কি কারনে মণীশকে হত্যা করা হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷
আরও পড়ুন- ‘জাগরুত ত্রিপুরা’ ডিজিটাল অ্যাপ্লিকেশনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী
প্রসঙ্গত, গত বছর অক্টোবর মাসের গোড়ায় টিটিাগড়ের বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লাকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে ঝাঁঝরা করে দেয় দুষ্কৃতিরা৷ দেহের বিভিন্ন জায়গায় অন্তত ১৪টি বুলেটের ক্ষত লক্ষ করা গিয়েছিল৷
আরও পড়ুন- প্রার্থী ঘোষণার আগে কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব
রাজ্য পুলিশের হাত থেকে তদন্তভার যায় সিআইডির হাতে৷ তদন্তে নেমে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে এক অভিযুক্তকে শনাক্ত করেন গোয়েন্দারা৷ এরপরই ব্যবসায়ী মহম্মদ খুররম এবং শার্প শুটার গুলাব শেখকে গ্রেফতার করা হয়৷ ধৃতদের জেরা করে পুলিশ অনীশ ঠাকুরের নাম জানতে পারেন৷
আরও পড়ুন- তেজস্বী-অখিলেশ কী বহিরাগত নয়, তৃণমূলকে প্রশ্ন জয়ের
এক গোয়েন্দা কর্তার কথায়, খুনের ঘটনার পরই অনীশ আগ্নেয়াস্ত্রটি দত্ত পুকুরের একটি জায়গায় লুকিয়ে রেখে রাজ্য ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ ভারতে৷ সেখানে অন্য একটি গ্যাংয়ের সঙ্গে সে কাজ করছিল৷ সম্প্রতি একটি ডাকাতির ঘটনায় তামিলনাড়ুর পুলিশের হাতে ধরা পড়ে অনীশ৷ এরপরই খবর খেয়ে সিআইডির অফিসারেরা তাঁকে জেরার জন্য কলকাতায় নিয়ে আসেন৷
অনীশকে নাগালে পাওয়ায় শীঘ্রই মণীশ শুক্লা খুনের কিনারা হবে বলেই মনে করছেন গোয়েন্দারা৷ ধৃতকে জেরা করে এই খুনের প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা৷ ব্যবসায়িক কারন নাকি রাজনৈতিক কারনেই মনীশ খুন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী দলের এক সদস্য৷