খাসডেস্ক: তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ধৃত সঞ্জয় রায়ের মোবাইল থেকে পর্নোগ্রাফির একাধিক ভিডিও মিলেছিল। সূত্রের দাবি এমনকি মর্গের ভেতর মৃতদেহের সঙ্গে সহবাসের ছবিও পাওয়া যায়। মর্গে যে অবাঞ্ছিত ব্যক্তিদের যাতয়াত ছিল তা একপ্রকার স্পষ্ট। এবার আরও জোরাল তথ্য উঠে এল। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা যাচ্ছে গত কয়েকবছরে মৃতের দেহ থেকে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ (BODY PARTS) পাচারের কারবার রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে ফুলেফেঁপে উঠেছিল। গত সাত বছরে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রি করে অন্তত ২০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে ইঙ্গিত মিলেছে। রাজ্যের এই সরকারি হাসপাতালগুলির মধ্যে রয়েছে আর জি কর। এক্ষেত্রে কিছু বেসরকারি হাসপাতালও তদন্তকারীদের নজরে এসেছে।
আরও পড়ুন:শর্ত বেঁধে ১ বছর ১১ মাস পর জামিন, স্ত্রী ও ছেলের পর জেলমুক্ত পলাশিপাড়ার বিধায়ক
বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের মর্গে থাকা অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির দেহ থেকে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অবাধে অস্ত্রোপচার করে বার করে নেওয়া হোত বলে তদন্ত সূত্রে উঠে এসেছে। এক-একটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ৪ থেকে ৮ লক্ষ টাকায় বিক্রি হোত। শুধু রাজ্য বা দেশ নয়, বিদেশেও চলে যেত সেই অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ। সম্প্রতি রাজ্যে বেড়েছে মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা। হৃৎপিণ্ড, যকৃত, কিডনি সাধারণত চিকিৎসা শাস্ত্রে কাজে লাগে। এরফলে চাহিদাও বেড়েছে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের। আর জি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, আখতার আলির সঙ্গে কথা বলেও মর্গ থেকে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রির কারবারের প্রাথমিক কিছু সূত্র মিলেছে। ওই সূত্রের ভিত্তিতে আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ দুই ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া যায়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও কিছু সূত্র মিলেছে বলে জানা গিয়েছে
আরও পড়ুন: আত্মঘাতী হওয়ার আগে কী বলেছিলেন মালাইকার বাবা
অজ্ঞাতপরিচয়ের দেহ সাধারণত সাত দিন পেরোলে পুড়িয়ে দেওয়া নিয়ম। আর আইন অনুযায়ী কোনও অজ্ঞাতপরিচয়ের দেহ থেকে অঙ্গ (BODY PARTS) নিতে হলে স্বাস্থ্য ভবনের ছাড়পত্র প্রয়োজন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ডাক্তারদের সিন্ডিকেটই বেআইনি অঙ্গ-ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করত বলেই অভিযোগ।