সৌমেন ওঝা ও মিলন পণ্ডা, এগরা: ৩০ টাকা দেওয়ার নাম করে ১০ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ওই নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার পুলিশের। ঘটনাটি(Minor Rape) ঘটছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ২ ব্লকের বিবেকানন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের উওর সিলামপুর গ্রামে। ধৃত ওই তৃণমূল নেতার নাম দেবাশিষ মণ্ডল। সোমবার অভিযুক্তকে কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
এগরা থানার পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দেবাশীষ মণ্ডলের বাড়ি এগরা থানার উওর সিলামপুর গ্রামে। গ্রেফতার দেবাশীষ মণ্ডল স্থানীয় এলাকায় তৃণমূল নেতা হিসেবেই পরিচিত। সোমবার আদালতে বিচারক জামিন নাকচ করে ৩ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। নির্যাতিতা নাবালিকার গোপন জবানবন্দি গ্রহণ করেন কাঁথি আদালতের বিচারক। ওই নাবালিকা পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী বলে জানা গিয়েছে। অভিযুক্তের ফাঁসির দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন নির্যাতিতার পরিবারের সদস্য থেকে এলাকার বাসিন্দারা। এই ঘটনার পরেই কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
অভিযোগ করা হয়েছে, শনিবার বিকালে শিক্ষকের কাছে পড়ে বাড়ি ফেরার সময় ওই পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীকে ৩০ টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বন্ধ ঘরের মধ্যে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে ৬০ বছরের উর্দ্ধ তৃণমূল নেতা দেবাশীষ মণ্ডল। বাড়ি ফিরেই পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপরে গোটা ঘটনার বিষয়ে পরিবারের সদস্যদের জানায়। এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বরা, এমনই অভিযোগ সামনে এসেছে। পরে নির্যাতিতা ছাত্রীর পরিবার রবিবার সকালে এগরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্তে নেমে রাতেই বাড়ি থেকে অভিযুক্ত দেবাশীষ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে।
নির্যাতিতা ১০ বছরের শিশুকন্যা ঠাকুমা জানিয়েছেন, “দশ বছরের নাতনিকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে দেবাশীষ মণ্ডল ওরফে ঝন্টু ধর্ষণ করেছে। এনিয়ে থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। অভিযুক্তের ফাঁসি চাই”! এগরা থানার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে”।
এনিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপি মণ্ডলের সভাপতি দেবকুমার পণ্ডা বলেন, “বাংলায় খুন, ধর্ষণ ও চিটিংবাজি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের রাজত্বে আমাদের চলছে। এটা কোনো নতুন কথা নয়। ৩০ টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে, দোষী ব্যক্তি যেন উপযুক্ত শাস্তি পায়। অভিযুক্ত দেবাশীষ মণ্ডল ওরফে ঝন্টু তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল কংগ্রেস এই ঘটনা নিয়ে আড়াল করার চেষ্টা করছে”। আবার অন্যদিকে, স্থানীয় তৃণমূল নেতার দাবি, “কেউ দোষ করলে শাস্তি পাবে। বিজেপি এনিয়ে অহেতুক রাজনীতি করছে”।