জলপাইগুড়ি: গত ১০ দিন ধরে নিখোঁজ ছিল নাবালিকা। দীর্ঘদিন নিখোঁজ থাকার পর চা বাগান থেকে উদ্ধার হল তাঁর দেহ। ধর্ষণের করে খুনের অভিযোগ উঠে এসেছে এই ঘটনায়। পুলিশ (Police) ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছেন। তবে কেন নিখোঁজ হওয়ার এতদিন পর মিলল নাবালিকার দেহ, এই প্রশ্নই উঠছে এলাকাবাসীর মনে।
ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) গয়া গঙ্গা চা বাগান এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৮ অগস্ট থেকে নিখোঁজ ছিলেন ১৭ বছর ব্য়সী এক নাবালিকা। এরপরই পরিবার নিখোঁজের অভিযোগ দায়েরও করেছিলেন স্থানীয় থানায়। পুলিশের তল্লাশিতে ১০ দিন পর চা বাগানের একটি নালা থেকে উদ্ধার হয় পচাগলা মৃতদেহ। দেহের ওপর বড় বালির বস্তাও চাপা দেওয়া ছিল, এমনটাই ঘটনাস্থলে থাকা প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানিয়েছেন। মৃতদেহ চা বাগান থেকে উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পরিবারের অভিযোগ, পারিবারিক বিবাদের জেরেই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এমনকি এই ঘটনায় সন্দেহের তির গিয়েছে মৃতার কাকা রাকেশ খেসের দিকে। মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেফতার করেছে অভিযুক্তকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী নাবালিকাকে গলা টিপে খুন করা হয়েছে। তবে মৃত্যুর আসল কারণ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই জানা সম্ভব হবে। তবে এই বিষয়ে রাজনৈতিক দলেরও দাবি, নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ফরেন্সিক তথ্য সংগ্রহ করেছে পুলিশ। সম্পূর্ণ ঘটনাটির তদন্ত করছেন এই তথ্যের ভিত্তিতে।