খাসডেস্ক: ২০২১ এর একটি ঘটনা। ঘটনাস্থল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ (Burdwan Medical College ) হাসপাতাল। সংশ্লিষ্ট বছরের অগাস্ট মাসে শেখ মোবারক হোসেন নামে বর্ধমান মেডিক্যালের সার্জারি বিভাগের এক জুনিয়র চিকিৎসকের মৃত্যু হয়। পরিবারের দাবি ছিল, কলেজ হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল ওই চিকিৎসক পড়ুয়ার। কর্তৃপক্ষ জানিয়ে ছিল এমনটাই। পূর্বস্থলী-১ ব্লকের নাদনঘাটের নওপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন শেখ মোবারক হোসেন।
আরও পড়ুন : পোস্টমর্টেমের আগে ও পরে বার বার ছুটে গিয়েছিলেন সন্দীপের ঘরে, ব্যাখা চেয়ে পুর্ণাঙ্গ রিপোর্ট সিবিআই এর
যদিও মৃত ছাত্রের পরিবার দুর্ঘটনার তত্ত্ব মানতে চাইনি। খুনই হয়েছিলেন চিকিৎসক পড়ুয়া। মামলা হয়েছিল। তবে কেস করা সত্ত্বেও কোন শুনানি হয়নি। ডেটের পর ডেট পড়ে শুধু। মৃতের বাবার আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় বড় উকিলও ধরতে পারেননি। ঠিক কি ঘটেছিল সেদিন রাতে? মোবারকের পরিবার জানিয়েছে ২০২১ এর ১১ ই অগাস্টের রাতে সিনিয়ররা তাঁকে আমন্ত্রণ জানান। সেদিন ভোরেই কলেজ হস্টেলের নীচ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় শেখ মোবারককে। মৃতের শরীরে ছিল মাত্র অন্তর্বাসটুকু।
আরও পড়ুন : কোন সংস্থাকে বরাত, চুক্তিপত্রের সবিস্তার, BMW নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্যভবনকে চিঠি CBI এর
খবর পেয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের(Burdwan Medical College ) ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফরেন্সিক টিম। ডামি পুতুল নিয়ে ঘটনার পুর্নবিন্যাসও করা হয়। তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় সিআইডির হাতে। আদালতে বিষয়টি তোলা হয়। তবে মামলাটি খুব বেশি দুর এগোয়নি। এমনকি ছাত্রের পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়, হাসপাতাল থেকে খবরটুকু পর্যন্ত মৃতের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়নি। এক জুনিয়র ছাত্র ফোনে শেখ মোবারকের বাড়িতে খবর দেন। পরে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়, অতিরিক্ত মদ খেয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছিলেন শেখ মোবারক। তাই ব্যালকনি থেকে পড়ে যান