
দিঘা: রাজ্যজুড়ে বাড়ছে ওমিক্রনের আতঙ্ক। পাশাপাশি বেশ কয়েকদিন ধরে করোনার গ্রাফও ঊর্ধ্বমুখী। রীতিমত আতঙ্ক বাড়ছে বাংলায়। এই পরিস্থিতিতে করোনা নিয়ে একাধিক সতর্কবার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ট্রেনের সংখ্যা কম করার থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ পুনরায় বন্ধ করার ইঙ্গিত ও দিয়েছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে বর্ষশেষ-বর্ষবরণের পার্টিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
যদিও এই পরিস্থিতিতে মানুষ অসচেতন। করোনা বিধি তো মানছেই না, বরং মাস্ক ছাড়াই ঘুরে বেড়াচ্ছে। তবে এবার করোনা নিয়ে কড়াকড়ি হয়েছে প্রশাসন। রাজ্য জুড়ে চলছে প্রচার। আর এরই মাঝে মাস্ক না পড়ার অভিযোগে ৮ জন পর্যটক কে গ্রেফতার করল পুলিশ।
আরও পড়ুন-Royal Bengal Tiger: বর্ষশেষে ফের দেখা মিলল বাঘের, আতঙ্ক সুন্দরবনে
জানা গিয়েছে, সৈকত নগরী দিঘা সহ উপকূলবর্তী এলাকায় বর্ষপূর্তি ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ভিড় জমিয়েছেন বহু পর্যটক। এদিকে আবারও করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। মাস্ক না পরে সৈকত নগরী দিঘায় ঘোরাফেরা করার অভিযোগে ৮ জন পর্যটক যুবককে আটক করল পুলিশ।
সূত্রের খবর, কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সচেষ্ট রয়েছে পুলিশ প্রশাসন। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যটকদের মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে। মাস্ক না পড়লে পর্যটকদের আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সেই নির্দেশ অমান্য করেই সিবিচে ঘোরাফেরা করছিল কলকাতার বেশ কয়েক জন পর্যটক। তাদেরকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন-Suicide: সরকারি চাকরিজীবী পাত্র না পাওয়ার অবসাদে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী খড়গ্রামের যুবতী
অন্যদিকে, সোনারপুরে মাস্ক ব্যবহার না করায় এবার কড়া পদক্ষেপ নিল প্রশাসন। শুক্রবার বর্ষবরণের দিন সোনারপুর রাজপুর পুরসভার বিভিন্ন বাজারগুলিতে হানা দেয় সোনারপুর থানার পুলিশ। মাস্ক ব্যবহার না করায় প্রায় ত্রিশ জনকে গ্রেফতার করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ। সোনারপুরের বিভিন্ন বাজার ও গণপরিবহনে নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনারপুর রাজপুর এর বিভিন্ন পুর এলাকায় গুলিতে পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করে সাধারণ মানুষকে মাস্ক ব্যবহার করার কথা জানানো হচ্ছে। কিন্তু প্রশাসনের কথায় কর্ণপাত করতে নারাজ সাধারণ মানুষ। আজ সোনারপুর রাজপুর বাজার এলাকা থেকে মাস্ক না পারার অভিযোগে ৩০ জন ক্রেতা ও বিক্রেতা গ্রেফতার করা হয়েছে। বারুইপুর পুলিশ জেলার খবর সূত্রে খবর, যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে তার থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতে মাস্ক পরা একান্ত জরুরী। সাধারন মানুষকে সচেতন করতে এইরকম পুলিশি অভিযান আগামী দিনেও চলবে।