খাসডেস্ক: কলেজ ক্যাম্পাসে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি। থ্রেট কালচারের (THREAT CULTURE) অভিযোগে ৪০ জন পড়ুয়া চিকিৎসককে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিল কল্যানীর জওহরলাল নেহেরু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (JNM)। সংশ্লিষ্ট কলেজের মেডিক্যাল কাউন্সিলের সিদ্ধান্তে নূন্যতম ৬ মাসের জন্য হাসপাতাল, হস্টেল, কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে অভিযুক্ত চিকিৎসকদের। জানা গিয়েছে শুধুমাত্র পরীক্ষার সময় ও তদন্তের মুখোমুখি হওয়ার সময় কলেজ ক্যাম্পাসে ঢোকার ছাড়পত্র পাবেন তাঁরা।
আরও পড়ুন : “আমি অর্থোপেডিক সার্জেন, আমার দু’টো হাত রয়েছে”, আপাতত ডাক্তারির সেই হাত দুটো থাকল না সন্দীপের
অভিযুক্তদের বহিষ্কারের পাশাপাশি আরও কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলেজের মেডিক্যাল কাউন্সিল। স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার কমিটিও ভেঙে দেওয়ার ও সমস্ত ক্লাস রিপ্রেজেনটেটিভকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কলেজ নির্বাচনেও অংশ নিতে পারবেন না বহিষ্কৃতরা।কিছুদিন আগেই কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হসপিটালের অধ্যক্ষের নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। তৎকালীন অধ্যক্ষ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়কে সরিয়ে দিয়ে নতুন অধ্যক্ষ করা হয় মণিদীপ পালকে।
আরও পড়ুন: এক সপ্তাহ পর অনুমতি, বিধানসভায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন মানিক
বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজগুলিতে (MEDICAL COLLEGE) একদিকে যেমন হুমকি সংস্কৃতির (THREAT CULTURE) অভিযোগ উঠছে। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে এই হুমকি সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন জুনিয়রদেরই একাংশ। অর্থাৎ সবসময় ‘বড়মাথা’রা সামনে থাকেন না। তাঁদের অনুগত জুনিয়র চিকিৎসকদের দিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা হোত। এক এক জনকে এক রকম ভাবে ভয় দেখানো হত। যাঁরা এমবিবিএস (MBBS) পড়ছেন, তাঁদের ‘ফেল’ করিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হত। হাউস স্টাফদের বলা হত, রেজিস্ট্রেশন আটকে দেওয়া হবে বা বাতিল করানো হবে। সিনিয়র ডাক্তারদের আবার হুমকি দেওয়া হত বদলি করে দেওয়ার। অভিযোগ হুমকি দেওয়ার নেপথ্যেও সক্রিয় থাকত ওই ‘লবি’। যেটি ‘উত্তরবঙ্গ লবি’ বলেই চিকিৎসক মহলে পরিচিত। একাধিক চিকিৎসক জানিয়েছেন, ওই ‘লবি’ সমস্ত সরকারি হাসপাতালেই ‘সক্রিয়’। ফলে কোনও জুনিয়র ডাক্তার হেনস্থার শিকার হয়ে অন্য কোনও হাসপাতালে চলে গেলেও মুক্তি মিলত না।