দিঘা: আরজিকর হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। আর এই আবহেই সৈকত নগরী দিঘায় নিয়ে গিয়ে এক যুবতীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল ২ বন্ধুর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘিরে সৈকত নগরী দিঘায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেফতার করেছে ধৃত ২ যুবকে।
নির্যাতিতার দাবি, গত ২৪ অগষ্ট সৈকত নগরী দিঘায় বেড়াতে গিয়েছিলেন ২ যুবতী সহ ৪ জন। এরপরই তাঁরা সেখানে থাকার জন্য নিউ দিঘার এক বেসরকারি হোটেলে যান। গত ২৫ আগস্ট সন্ধ্যায় ওই হোটেলেরই এক রুমে তাঁরা মদের আসর বসায়। সেখানেই এক যুবতী মদ্যপান করে। এরপরই অচৈতন্য হয়ে পড়লে দুই বন্ধু মিলে ওই যুবতীকে ধর্ষণ করে। এমনটাই অভিযোগ নির্যাতিতার পরিবারের। এই ঘটনার পরে ওই যুবতী হোটেলের ম্যানেজার এবং পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানায়। গত সোমবার সৈকত নগরীর দিঘা থানায় এসে হাজির হয় যুবতীর পরিবারের সদস্যরা৷ সেইদিন সন্ধ্যায় দিঘা থানায় অভিযোগ দায়ের করে যুবতীর বাবা।
গোটা ঘটনায় তদন্ত করেছে দিঘা থানার পুলিশ (Police)। পুলিশ সূত্রে খবর, নির্যাতিতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে গত সোমবার রাতে ধৃত ২ জনকে গ্রেফতার করল দিঘা থানায় পুলিশ। ধৃতদের নাম একজনের নাম অর্চন দত্ত, বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas)। আরেকজন রোহন চ্যাটার্জি, বাড়ি কলকাতা (Kolkata)। অর্চন পেশায় আইনজীবী এবং রোহন একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের ম্যানেজার।
এই বিষয়ে দিঘা থানার ওসি অভিজিৎ পাত্র বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” পুলিশ আরও জানিয়েছেন, মঙ্গলবার অভিযুক্তদের কাঁথি (Kanthi) মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাদের জামিন নাকচ করে ৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। যদিও অভিযুক্তদের দাবি, তাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।