খাসডেস্ক: রীতিমত হাঁসফাঁস অবস্থা। সমতলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পাহাড়ে যেন ক্রমশই বাড়ছে গরম। রোদ থেকে গা বাঁচাতে দিনের বেলায় অনেকেই ঘরে আশ্রয় খুঁজছেন। পাহাড়ে ঘুরতে এসে ঘরবন্দী থাকতে হচ্ছে পর্যটকদের (tourist)। সকালের দিকে আবহাওয়া কিছুটা নরম হলেও বেলা বাড়তেই পাল্টে যাচ্ছে ভোল। এখন সেপ্টেম্বরের শেষ প্রায়। হালকা, হালকা শীত অনুভব হওয়ার কথা। কোন যাদুবলে সেটাই যেন ভ্যানিশ।
আরও পড়ুন : কাটা শরীরের টুকরোগুলোতে কিলবিল করছিল পোকা, আততায়ী সনাক্ত, বলছে বেঙ্গালুরু পুলিশ
বিশ্বজুড়ে গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর প্রভাব পড়েছে পাহাড়েও। বিভিন্ন হোটেল, লজ তৈরির জন্য চলছে লাগাতার গাছ কাটা। বৃক্ষচ্ছেদনের কু-প্রভাব পড়ছে পাহাড়ি শীতে। গত কয়েকদিন ধরেই দার্জিলিং এর স্বাভাবিক তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছে ২৫ ডিগ্রির বেশি। হাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৩০ বছরের উষ্ণতার রেকর্ড ভেঙেছে পাহাড়ে। শুধু দার্জিলিংই নয়, কালিম্পং, সিকিমেও একই পরিস্থিতি। পাহাড়ে চাহিদা বাড়ছে ফ্যান এবং বাতানুকূল যন্ত্রের।
আরও পড়ুন : অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা কমছে, নিউমোনিয়া, টাইফয়েড নিয়ে বড় বিপদ, আশঙ্কার কথা শোনাল ICMR
শিলিগুড়ি থেকে জলপাইগুড়ি— কোথাও তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি তো কোথাও ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চক্ষু ছানাবড়া হওয়ার মতোই অবস্থা। গরমের জেরে পাহাড়ে পর্যটকের(tourist) সংখ্যা কমে আসছে। তবে দার্জিলিং শহরে তাপমাত্রা বাড়লেও পাহাড়ের গ্রামীণ জায়গাগুলোতে তাপমাত্রা কিন্তু স্বাভাবিকই রয়েছে।