
খাস খবর, হাওড়া: বর্ধমানের পর এবার হাওড়া৷ কয়লা পাচার কাণ্ডের তল্লাশিতে নামল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ( ইডি )। শুক্রবার সকাল থেকে কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হানা দেন ইডির অফিসাররা। কলকাতার বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি ইডির কয়েকটি দল পাড়ি দেন দূর্গাপুর ও বর্ধমান সহ কয়েকটি জায়গায়। হাওড়াতেও চলছে ইডির তল্লাশি।
আরও পড়ুন-তৃণমূলের প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে নাম রয়েছে জনপ্রিয় গায়িকা অদিতি মুন্সির
ইডি সূত্রের খবর, এদিন এগারো সদস্যের একটি দল দুপুর ১২টা নাগাদ হাওড়া মিলস কোম্পানি লিমিটেডের ফোরশোর রোডের অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন। সংশ্লিষ্ট অফিসের লিগ্যাল অ্যাডভাইজরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা৷ কড়া প্রহরায় ঘিরে রাখা হয়েছে অফিস চত্বর৷ বাইরের কাউকেই অফিসের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি জেরা পর্ব চলাকালীন ভিতরেরও কাউকে বাইরেও বেরতে দেওয়া হচ্ছে না। রীতিমতো ম্যারাথন জেরা চলছে। আনা হয়েছে সেন্ট্রাল ফোর্সও৷ চলছে তল্লাশি।
প্রসঙ্গত, শুধু হাওড়া নয় শুক্রবার ভোর রাত থেকে কলকাতা সহ রাজ্যের একাধিক জেলায় তল্লাশিতে নেমেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর (ইডি)৷ ইডি সূত্রের খবর, লালার সিএ অ্যাকাউন্ট থেকে আর কোন কোন ব্যবসায়ীদের অ্যাকাউন্টে টাকা লেনদেন হয়েছে তার হদিশ পাওয়ার চেষ্টা চলছে৷
বৃহস্পতিবারই ঠাকুরনগরের জনসভা থেকে অভিষেক বলেছিলেন, ‘‘সিবিআই, ইডি, আয়কর— আরও যারা যারা আছে, আমার পিছনে লাগান। কিন্তু মাথা নত করব না।’’ তারপর ২৪ ঘণ্টাও পেরাল না, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা যেভাবে চিরুনি তল্লাশিতে নেমেছে, তাতে ভোটের আগে শাসকের স্নায়ুর চাপ বাড়বে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা৷
আরও পড়ুন-নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশের আগেই হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা
তাঁদের মতে, অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা ও তার শ্যালিকা মেনকাকে কয়লা পাচার কাণ্ডে শুধু জেরা করা নয়, ফের জেরা করার ইঙ্গিতও দিয়ে এসেছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। এবার একই মামলায় ইডি মাঠে নামাই তাঁরাও জেরার পথে পা বাড়াতে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে৷ ফলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার পদক্ষেপের দিকে নজর রাখছে শাসকদল৷