বিশ্বদীপ ব্যানার্জি: পতৌদির নবাব। এই দুই শব্দ পরপর বসে গেলে বোধহয় আর কিছু বলার প্রয়োজন পড়ে না। ভারতীয় ক্রিকেটের নবাবদ্বয়। যেমন বাবা, তেমনিই ছেলে। ইফতিখার আলি খান পতৌদি এবং মনসুর আলি খান পতৌদি।
আরও পড়ুন: ১৮ বছরের বর্ণময় কেরিয়ারের ইতি, অবসর ঘোষণা সানিয়া মির্জার
কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটের এই বিখ্যাত পিতা-পুত্র জুটির জীবনের সঙ্গে যে তিক্ত তথা কাকতালীয় সত্য জড়িয়ে, তার খবর কতজন রেখেছেন? খবর রাখলেও মনে রেখেছেন ক’জন?
১৯৪১ সালের ৫ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম রত্ন মনসুর আলী খান পতৌদি। আবার ১৯৫২ তে এই দিনেই অর্থাৎ মনসুরের ১১ তম জন্মদিবসের দিন পোলো খেলার সময় ঘোড়ার পিঠ থেকে পড়ে যান তাঁর পিতা তথা দেশের প্রবাদপ্রতিম ক্রিকেটার নবাব ইফতিকার আলী খান পতৌদি। এরপরই তাঁর মৃত্যু ঘটে।
অর্থাৎ ছেলের জন্মদিন বাবার মৃত্যুদিন। তাও যে সে বাপ-ছেলে নয়। ভারতীয় ক্রিকেটের দুই কিংবদন্তি। কী ট্র্যাজেডি, তাই না?
নবাব ইফতিকার ১৯৩২ র ‘বডিলাইন অ্যাশেজে’ ইংল্যান্ডের হয়ে একটি টেস্ট খেলেন। একটি শতরানও করেন। কিন্তু তারপর ‘বডিলাইনে’র প্রতিবাদে সিরিজ অসম্পূর্ণ রেখেই দেশে ফিরে এসেছিলেন। পরে ৪৬ সালে আবার তিনি ভারতের অধিনায়ক হিসেবে ইংল্যান্ডে ৩টি টেস্ট খেলেন।
অন্যদিকে মনসুরের কথা আর নতুন করে কী বলার আছে? One-eyed man হয়েও তাঁর নামের পাশে ৬টি টেস্ট শতরানসহ ২,৭৯৩ রান। ব্যাট করার সময় নাকি তিনটি বল দেখতেন। যে বল ভেতরে ঢুকছে, সেটি খেলতেন।
আরও পড়ুন: IPL 2022: Mega Auction -র আগেই দল পেয়ে গেলেন রাহুল-হার্দিক
প্রথম ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে বিদেশের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয়ের কৃতিত্ব তাঁরই। ১৯৬৮ সালে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নেন। দুর্ঘটনায় চোখ না হারালে হয়ত ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যাটার হতে পারতেন। এরই মধ্যে ভারতীয়দের মধ্যে প্রথম ফিল্ডারের মাথার ওপর দিয়ে মারার রীতি চালু করেন।