
বিশ্বদীপ ব্যানার্জি: ২০১০ বিশ্বকাপে যে ঘটনা ঘটতে দেখা গিয়েছিল, কাতারে চলতি বিশ্বকাপেও ঘটল একই ঘটনা। অর্থাৎ যাকে বলে, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি। চলতি বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ কাতার এশিয়ার চ্যাম্পিয়নও। তা সত্ত্বেও গ্রুপ পর্বে ইকুয়েডর এবং সেনেগালের কাছে টানা দুই ম্যাচ হেরে বিদায় নিতে হচ্ছে তাদের। একই ঘটনা ঘটেছিল ১২ বছর আগেও।
আরও পড়ুন: নীল-সাদা বাহিনীকে বিশ্বকাপ সমুদ্রে ভাসিয়ে রাখতে ভরসা সেই মেসিই
২০১০ সালে বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তারাও গ্রুপ পর্বের বাধা টপকাতে পারেনি। প্রথম ম্যাচে মেক্সিকোর সঙ্গে তারা ড্র করে, কিন্তু পরের ম্যাচেই বড় ব্যবধানে হারতে হয় উরুগুয়ের কাছে। ফলতঃ শেষ ম্যাচে ফ্রান্সের মত জায়ান্টদের ২-১ গোলে হারানো সত্ত্বেও শেষরক্ষা হয়নি। আয়োজকদের প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিতে হয়।
বর্তমান শতাব্দীতে আজ পর্যন্ত এটাই ছিল আয়োজক দেশের প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নেওয়ার একমাত্র নজির। এছাড়া আর কোনও বিশ্বকাপে আয়োজকরা প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নেই। অবশেষে অপেক্ষার অন্ত ঘটিয়ে দ্বিতীয় দল হল কাতার। টানা দুটি হারে বিদায় তাদের পুরোপুরি নিশ্চিত। এখন যদি শেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে অঘটন ঘটাতে পারে তাহলে অন্ততঃ সম্মানের সঙ্গে ঘরের মাঠে কাপ অভিযান শেষ করতে পারেন হাসান আল হাইদোসরা।
খাস খবর ফেসবুক পেজের লিঙ্ক:
https://www.facebook.com/khaskhobor2020/
কিন্তু নেদারল্যান্ডসকে কি আদৌও হারানো সম্ভব কাতারের পক্ষে? ২০০৬ সালে ফ্রান্স রানার্স হয়। ২০১০ বিশ্বকাপে সেই তাদের অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকা হারিয়ে দেয়। অতএব কাতারের কাছেও সুযোগ রয়েছে। আর সত্যি বলতে, তা যদি হয় তাহলে যেন ইতিহাসের যথাযথ পুনরাবৃত্তি-ই ঘটবে। শাবালালাদের মত কাতারিরা-ও ইউরোপীয় গতির বিরুদ্ধে ইতিহাস সৃষ্টি করবে।