
শান্তি রায়চৌধুরী: ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর বিশ্বকাপ। বিশ্বের এই মহাযজ্ঞকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য চাই কঠোর নিরাপত্তা। আর তা না হলে বিশৃংখল পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে এত বড় একটা প্রতিযোগিতায়। তাই এই ফুটবল মহাযজ্ঞকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে জরুরী ভিত্তিতে লক্ষ্য দেওয়া হয়েছে। বিশ্বকাপের সময় লক্ষ লক্ষ মানুষ কাতারে আসবেন। এত মানুষের জন্য কাতারের মতো ছোট দেশের পক্ষে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা মোটেই সহজ কাজ নয়। তাই সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সামরিক জোট ন্যাটো (NATO)।
৩০ দেশের সামরিক জোট ন্যাটোর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাসায়নিক, জৈবিক, রেডিওলজিক্যাল এবং পারমাণবিক হুমকি মোকাবিলায় কাতার বিশ্বকাপের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সংস্থার সদস্যদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে ন্যাটো। ন্যাটোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম সরবরাহ করবে ন্যাটোর সদস্যদেশ স্লোভাকিয়া এবং চেক রিপাবলিকে অবস্থিত ন্যাটোর (NATO) যৌথ ডিফেন্স সেন্টার অব এক্সিলেন্স। এরইমধ্যে স্লোভাকিয়ায় গত মে-জুন মাসে প্রথম পর্যায়ের প্রশিক্ষণ পর্ব শেষ হয়েছে।
ভিআইপিদের নিরাপত্তার জন্য:
কাতার বিশ্বকাপে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (ভিআইপি) নিরাপত্তা প্রদান ও উন্নত বিস্ফোরক ডিভাইস নিষ্ক্রিয়করণের ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দেবে ন্যাটোর আরেক সদস্যদেশ রোমানিয়া। অন্যদিকে ন্যাটোর আরেক সদস্যদেশ ও কাতারের বন্ধুরাষ্ট্র তুরস্ক এরইমধ্যে বিশ্বকাপের জন্য নিরাপত্তা সহায়তা পরিকল্পনার রূপরেখা প্রকাশ করেছে। তুরস্ক ৩ হাজার ২৫০ জন নিরাপত্তা কর্মকর্তা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে কাতারের নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রশিক্ষণও দিয়েছে তুরস্ক।
সেই সঙ্গে তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছে, তার দেশ বিশ্বকাপে নিরাপত্তা প্রদানের জন্য প্রায় ৩ হাজার দাঙ্গা পুলিশ পাঠাবে। সেই সঙ্গে বিশেষ বাহিনীর ১০০ সদস্য, বোমা সনাক্তকরণ করতে সক্ষম ৫০টি কুকুর ও তাদের প্রশিক্ষক এবং ৫০ জন বোমা বিশেষজ্ঞও পাঠাবে বিশ্বকাপে।