স্পোর্টস ডেস্ক: স্টিল সিটি জামসেদপুরে ডুরান্ডের কোয়ার্টার ফাইনালে পাঞ্জাব এফসির মুখোমুখি হয়েছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট (Mohun Bagan)। বাগান কোচ হোসে মোলিনার প্রথম একাদশে বদল দেখে অনেকেই অবাক হতে বাধ্য। প্রথম একাদশে নেই শুভাশিস, দিমি, কামিন্স। বরং খেলছেন সুহেল ভাট, আশিস রাইরা, নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিশাল কাইথ। ফুলটাইম পর্যন্ত স্কোরবোর্ড ৩-৩, ফলে পেনাল্টি শুটআউটে ‘নার্ভ শান্ত’ রাখার খেলায় কে বাজিমাত করবে সেটাই প্রশ্ন ছিল। রোমাঞ্চকর ম্যাচে ট্রাইব্রেকারে শেষ মূহুর্তে ৬-৫ গোলের ব্যবধানে জয়ী সবুজ মেরুন ব্রিগেড।
ম্যাচ শেষে অবশ্য মোলিনার স্ট্র্যাটেজি নিয়ে তেমন প্রশ্ন উঠবে না। কারণ দ্বিতীয়ার্ধে সঠিক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নেন তিনি। যার সুবাদে আক্রমণাত্মক পাঞ্জাবকে পাল্টা আক্রমণে রুখে দেয় মোহনবাগান (Mohun Bagan)। ম্যাচের প্রথমার্ধে ১৬ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি পেয়ে যায় পঞ্জাব এফসি। ভিনিত রাইকে বক্সের ভিতর ফাউল করে মোহনবাগান ডিফেন্ডার আলবার্তো। সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হননি লুকা মাজসেন। তারপর বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেছিল মোহনবাগান। দ্বিতীয়ার্ধে দিমি-কামিন্স জুটির উপর ভর করে অনেক বেশি ধারালো মোহনবাগান।
প্রথমার্ধের খেলা শেষ হওয়ার ঠিক আগেই ডিফ্লেকশনে গোল পেয়ে সমতায় ফিরল মোহনবাগান। লিস্টনের পাস পেয়ে গ্রেগ স্টুয়ার্টের শট, সেই বল সুহেলের পায়ে ডিফ্লেক্ট হয়ে গোল হয়। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সাহালের পাস থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দিলেন মনবীর। ৬২ মিনিটে মিরজালেকের দুরন্ত শট থেকে সমতায় ফিরল পাঞ্জাব। ৭১ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোল করল পাঞ্জাব। বাঁপায়ে ভিদালের দুর্দান্ত শটে এগিয়ে গেল পাঞ্জাব। ৭৫ মিনিটে আবারও মোহনবাগানের ত্রাতা হয়ে গোল করলেন জেসন কামিন্স। ৯০ মিনিটে শেষে ফলাফল ৩-৩, ট্রাইবেকারে গড়ায় খেলা।
ট্রাইবেকারের শুরুতেই অবশ্য বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিল মোহনবাগান। শুরুতেই ভিনিত রাইয়ের শটে গোল করে পাঞ্জাব। এরপর অবিশ্বাস্য ভাবে কামিন্সের শট বারে এসে লাগে, গ্যালারিতে থাকা মেরিনার্সদের চাপ বাড়তে থাকে। এরপর একে একে শট নেন মনবীর, লিস্টন, দিমি, সকলেই সফল। শুরুতে পরখ করতে না পারলেও ইভানের শট সেভ করলেন বিশাল কাইথ। সাডেন ডেথের প্রথম শটের পরও ফলাফল ৫-৫, রোমাঞ্চকর ম্যাচের সাক্ষী থাকল জামসেদপুর। সেই বিশাল কাইথের গ্লাভসের উপরই নির্ভর করছিল মোহনবাগানের ডুরান্ড ভাগ্য। শেষমেশ ধনচন্দ্রের শট সেভ করলেন বিশাল, মোহনবাগানের হয়ে গোল করলেন বিশাল কাইথ। ইস্টবেঙ্গল বিদায় নিয়েছে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই, মহামেডান স্পোর্টিং গ্রুপ পর্যায় টপকাতে পারেনি। অতঃপর বাংলা ফুটবলের মুখ রক্ষা করল মোহনবাগান।