ঋতিকা চক্রবর্তী: ৮ আগস্ট, ২০২৪। বাংলার রাজনীতিতে নক্ষত্র পতন। প্রয়াত পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিএমের প্রাক্তন পলিটব্যুরো সদস্য বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharjee)। বামপন্থা আদর্শ সঙ্গে করে নিয়েই মৃত্যুবরণ করলেন তিনি। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বাংলার রাজনীতিতে এই নামটির আর আলাদা করে পরিচয় দরকার পড়ে না। পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দাপুটে রাজনৈতিক নেতা। বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টা ২০ মিনিটে বালিগঞ্জের পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। রেখে গেলেন স্ত্রী ও এক সন্তানকে। তবে দীর্ঘদিন রাজনীতি থেকে বেশ কিছুটা দূরে থাকলেও বুদ্ধদেববাবুকে মনে রেখেছে বাংলার মানুষ। শুধু বামপন্থীরাই নয়, সম্মানের সঙ্গে তিনি বাংলার মানুষদের মনের মণিকোঠায় আজও রয়েছেন। বুদ্ধবাবুর রাজনৈতিক জীবন সকলের কাছে অজানা নয়। তাই রাজনীতি ছেড়ে এবার একটু ব্যক্তিগত পরিসরে যাওয়া যাক।
এত বড় ব্যক্তিত্বকে শুধু রাজনীতিতে সীমাবদ্ধ রাখব কেন? আর পাঁচটা বাঙালির মতোই বুদ্ধদেব বাবুও (Buddhadeb Bhattacharjee) ছিলেন ফুটবলপ্রেমী। বাংলায় ফুটবলপ্রেমী বলতেই আরও একটা প্রশ্ন চলে আসে। ইস্টবেঙ্গল নাকি মোহনবাগান? বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য আদ্যপান্ত ইস্টবেঙ্গল সমর্থক ছিলেন। আদি বাড়ি রয়েছে বাংলাদেশে। কলকাতার বাড়িতে বাঙাল সংস্কৃতি বজায় থাকার দরুণ ফুটবল মানেই ছিল ইস্টবেঙ্গল। লাল-হলুদের প্রতি অগাধ টান ছিল। ব্যস্ততার কারণে মাঠে না যাওয়া হলেও ডার্বির খবর রাখতেন বুদ্ধবাবু। ইস্টবেঙ্গলের গ্যালারি সংস্কার করার জন্য সাহায্য করেছিলেন তিনি। ২০০৩ সালে ইস্টবেঙ্গলের আশিয়ান চ্যাম্পিয়ন দলের পাশেও ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
২০০০ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময়ে বুদ্ধবাবু ভালো ভাবেই সামলে নিতেন রাজ্যের ক্রীড়া ক্ষেত্রের বিভিন্ন সমস্যা। ইডেনে ভারতের খেলা থাকলে বিশেষ অতিথি হিসেবে মাঠে উপস্থিত থাকতেন তিনি। ২০১১ সালের বিশ্বকাপের সময় যখন ভারত বনাম ইংল্যান্ড ম্যাচ ইডেন থেকে সরে গেল তখন ব্যথিত হয়েছিলেন তিনি। যে কোনও প্রকারেই ইডেনে ম্যাচ ফিরিয়ে আনতে চাইছিলেন। নিজে একজন ক্রীড়াপ্রেমী হিসেবে অন্যান্য ক্রীড়াপ্রেমীদের দুঃখ বুঝতেন তিনি।