শুভম দে: আজ থেকে কানপুরের গ্রিণ পার্কে শুরু হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ। অধিনায়ক রোহিত শর্মা টসে জিতে ব্যাট করতে পাঠিয়েছেন বাংলাদেশকে। বৃষ্টির কারণে আজকের মতো শেষ প্রথম দিনের খেলা। ৩ উইকেট খুইয়ে বাংলাদেশের স্কোর ১০৭। মোমিনুল হক (৪০) ও মুশফিকুর রহিম (৬) রয়েছেন ক্রিজে। কিন্তু বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম দিনের খেলার মাঝেই ঘটে গেল এক অপ্রীতিকর ঘটনা।
ভারতে যেরকম রয়েছেন সুধীর গৌতম। ভারতের প্রতি ম্যাচেই মাঠে দেখা যায় তাঁকে। বাংলাদেশেও সেরকম রয়েছেন টাইগার শোয়েব, টাইগার রবিরা। সারা গায়ে বাঘের মতো রং করা, বাংলাদেশের পতাকা আঁকা বাংলাদেশি সুপার ফ্যান (Bangladeshi Fan) রবি কানপুরেও ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ গ্যালারিতে প্রায় জনা পনেরো দর্শকের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। রবির বক্তব্য অনুযায়ী খেলার শুরু থেকেই একদল দর্শক তাঁকে উত্যক্ত করছিল। এরপর লাঞ্চের সময় তিনি যখন অধিনায়ক শান্ত, মোমিনুলদের নাম ধরে ডাকছিলেন তখন কিছুজন তাঁকে ধাক্কা মারতে থাকে ও বাংলাদেশের পতাকা ছিঁড়ে ফেলার চেষ্টা করে। তিনি আরও বলেন, “আমাকে পিছন থেকে ধাক্কা দেওয়া হয়েছে। আমার তলপেটে লেগেছে। শ্বাস নিতে অসুবিধা হচ্ছে।“
নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীরা অবশ্য রবির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, “উনি বোধহয় ডিহাইড্রেশনে ভুগছেন। যে কারণেই পড়ে গেছেন। কেউ ওনাকে নিগ্রহ করেনি।“ রবি নাকি পুলিশের কথানুযায়ী সি ব্লকের ব্যালকনিতে ছিলেন। সেখানেই আক্রান্ত হতে হয় তাঁকে। পরে অবশ্য তাঁকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। তবে ভারত বাংলাদেশ ফ্যানদের মধ্যে এইধরণের আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ আজকের নয়। এর আগেও ২০১৫ সালে ঢাকায় বাংলাদেশ-ভারত দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচের পর বাংলাদেশি সমর্থকদের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ভারতের সুধীর গৌতম।
আবার ২০২৩ বিশ্বকাপে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ চলাকালীন পুনেতে বাংলাদেশি ফ্যান টাইগার শোয়েবও নিগৃহীত হওয়ার অভিযোগ আনেন। এমনিতেই কানপুরে ম্যাচের আগে হিন্দু মহাসভার ক্রমাগত হুমকি ছিল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলা নিয়ে। ম্যাচ চলাকালীন বাংলাদেশে হিন্দুদের সাথে ঘটে চলা অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছিল। কিন্তু তার মাঝেই ঘটেছে এমন ঘটনা। যদিও ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন কানপুরের পুলিশ কমিশনার।