ফেসবুকের মালিকাধিন হোয়াটসঅ্যাপটি বর্তমানে পৃথিবীর জনসংখ্যার ২৫ শতাংশ দখল করে রয়েছে। বর্তমানে ২ বিলিয়ন মানুষ এই অনালাইন ইনস্টা মেসেজ অ্যাপটি ব্যবহার করেন। কোনোরকম বিজ্ঞাপন ছাড়া ভিডিও কল, গ্রুপ চ্যাটের সুবিধা থাকার জন্য যতদিন যাচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপের জনপ্রিয়তা তত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিশ্বজুড়ে হোয়াটসঅ্যাপের জনপ্রিয়তা এটিকে বিশ্বজুড়ে সাইবার অপরাধীদের জন্য একটি জনপ্রিয় লক্ষ্য হিসাবে পরিণত করছে। যদিও হোয়াটসঅ্যাপের এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন অনেকখানি সুরক্ষা প্রদান করে। ফলে হ্যাকাররা অতি সহজে হ্যাক করতে পারেনা।
সপ্তাহের শুরুতে কোম্পানি জানিয়েছে, অ্যাপ-এর শক্তিশালী এনক্রিপশন একটি অবিচ্ছেদ্য ডিজিটাল লকের মতো কাজ করে। যা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে প্রেরিত তথ্য সুরক্ষিত রাখে। যা আপনাকে হ্যাকার এবং অপরাধীদের থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। বার্তাগুলি কেবল আপনার ফোনেই রাখা হয়। কেউ আপনার বার্তা পড়তে বা কলগুলি শুনতে পারবে না, এমনকি আমরাও নই। আপনার ব্যক্তিগত কথোপকথন আপনার মধ্যেই থাকবে।
হোয়াটসঅ্যাপ তাদের ২ বিলিয়ন ব্যবারকারীদের জন্য যে সুরক্ষা বৈশিষ্ট্য রয়েছে সেগুলি হল
টু স্টেপ ভেরিফিকেশান
ইতিমধ্যে ফেসবুক, জিমেইল এবং অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশানে টু স্টেপ ভ্যারিফিকেশান রয়েছে। এবার হোয়াটসঅ্যাপেও থাকবে এই সুবিধা। ফলে অ্যাকাউন্ট হবে অনেকবেশি সুরক্ষিত। এর জন্য ব্যবহারকারীকে ৬ ডিজিটের পিন দিতে হবে রিসেটিং এবং ভেরিফাই করার জন্য। আপনার ফোনটি চুরি হয়ে গেলে অথবা হারিয়ে গেলে এই বৈশিষ্ট্যটি কাজে আসবে। এই ফিচারটি চালু করতে সেটিং-এ গিয়ে অ্যাকাউন্ট এবং পরে টু স্টেপ ভেরিফিকেশান অপশনে যেতে হবে।
প্রোফাইল সুরক্ষা
আপনার হোয়াটসঅ্যাপ প্রোফাইল কে দেখতে পারবে এবং কে পারবেনা সেটা আপনিই ঠিক করতে পারবেন। এছাড়া লাস্ট সিন বন্ধ করা থেকে শুরু করে কারও স্ট্যাটাস মিউট করা এমনকি নিজের স্ট্যাটাস অন্য কাউকে দেখাতে না চাইলে সেইটাও করতে পারবেন।
গ্রুপের ব্যবহার
হোয়াটসঅ্যাপের সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল গ্রুপ। বর্তমানে স্কুল থেকে শুরু করে কর্পোরেট হাউস সবার কাছেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আগে যে কেউ যেকোনো গ্রুপে আপনাকে অ্যাড করতে পারত। কিন্তু এখন আপনি ঠিক করতে পারবেন আপনি কোন গ্রুপে থাকবেন। এই ফিচারকে চালু করতে প্রথমে সেটিং থেকে অ্যাকাউন্ট অপশনে যেতে হবে। তারপর প্রাইভেসিতে গিয়ে গ্রুপ অপশনে ক্লিক করে আপনার পছন্দ মতন অপশন বেছে নিতে হবে।
টাচ অথবা ফেস আইডি
এখন ফিঙ্গার প্রিন্ট কিংবা ফেসলক ব্যবহার করে অ্যাপটি আনলক করা যাবে। নতুন আইফোনগুলির জন্য ফেস লক এবং অ্যান্ড্ররয়েডের জন্য ফিঙ্গার প্রিন্ট লকের সুবিধা রয়েছে।
তবে এই বৈশিষ্ট্যগুলি ব্যবহার করতে চাইলে ব্যবহারকারীকে অ্যাপটিকে প্রতিনিয়ত আপডেট করা উচিত। নচেৎ এই পরিষেবাগুলি তারা ব্যবহার করতে পারবেনা।