
বিশ্বদীপ ব্যানার্জি: প্রায় ১০০ বছর আগে রবি ঠাকুর লিখে গিয়েছিলেন কথাটা। “বিপুলা এ পৃথিবীর কতটুকু জানি…” স্বয়ং বিশ্বকবি লিখে গিয়েছেন, বিশ্বের বেশি কিছু মানুষের পক্ষে জানা সম্ভব হয়নি। তাহলেই ভাবুন, এই অনন্ত মহাবিশ্বের কীই বা জানি আমরা। আমাদের এই না জানাগুলিকে-ই এক এক করে জানাতে শুরু করেছে NASA -র হাবল টেলিস্কোপ। ঠিক যেমন এবারে এই যন্ত্র সন্ধান দিচ্ছে সূর্যের থেকেও ৩২ গুণ বড় একটি নক্ষত্রের।
আরও পড়ুন: মঙ্গল গ্রহে থাকতে চান, বসতি স্থাপন করতে চলেছেন এলন মাস্ক, জেনে নিন খরচ
এই দৈত্যাকার নক্ষত্রের নাম Herschel 36। যা অবস্থিত স্যাজিটেরিয়াস নক্ষত্রপুঞ্জে লেগুন নীহারিকার কেন্দ্রে। পৃথিবী থেকে প্রায় ৪ হাজার আলোকবর্ষ দূরে। অর্থাৎ মহাজাগতিক হিসেবে এমন কিছু দূরে নয়। আকারে বড় হওয়ায় এই নক্ষত্রের ঔজ্জ্বল্য-ও সূর্যের থেকে বেশি। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, আমাদের সূর্যের থেকে এই Herschel 36 ২ লাখ গুণ বেশি উজ্জ্বল।
তবে বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, সূর্যকে অন্য সব ক্ষেত্রে পাল্লা দিলেও বয়সে কিন্তু সূর্যের থেকে অনেকটাই নবীন এই নক্ষত্র। নক্ষত্রটির বয়স মাত্র ১ মিলিয়ন বছর। এখনও Herschel 36 নিজের জন্মগত বিভিন্ন আয়নযুক্ত গ্যাস নিষ্কাশন করে চলেছে। বড় নক্ষত্র হওয়ায় এটি দ্রুত নিজের জ্বালানি শেষ করছে। তবু আরও ৫ মিলিয়ন বছর এই নক্ষত্রের আয়ু বলে দাবি করছেন NASA -র বিজ্ঞানীরা।
খাস খবর ফেসবুক পেজের লিঙ্ক:
https://www.facebook.com/khaskhobor2020/
হাবল টেলিস্কোপ এই নক্ষত্রের পুঙ্খানুপুঙ্খ ছবি তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। সেইসঙ্গে নক্ষত্রটি সম্পর্কে আরও অনুসন্ধান চালাচ্ছে। NASA এবং ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির যৌথ উদ্যোগে হাবল টেলিস্কোপ নির্মিত হয়। গত ৩ দশক ধরে মহাকাশের অনেক অজানা বিষয়ই এই টেলিস্কোপ তুলে ধরেছে। জানার চেষ্টা চলছে, এই নক্ষত্রকে কটি গ্রহ পরিক্রমা করে। তাদের মধ্যে কোথাও প্রাণের অস্তিত্ব থাকা সম্ভব কিনা।