
কাঁথি: ভুল জাতীয় সংগীত গেয়ে আগেই খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন তিনি৷ এবার টেলিফোনে নিজের দলের পুরসভা চেয়ারম্যানের উদ্দেশ্যেই অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও তাঁকে ‘দেখে নেওয়া’র হুমকি! ভাইরাল অডিও ক্লিপ! যার জেরে ফের বিতর্কের মধ্যমণিতে কাঁথি পুরসভার সিআইসি রিনা দাস৷ এমনকি ওই অডিও ক্লিপে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জনগণের উন্নয়নের টাকা চুরির করার বিস্ফোরক অভিযোগও করতে শোনা গিয়েছে রিনাদেবীকে৷ ‘খাসখবর’ অবশ্য এই অডিও ক্লিপের (Viral audio clip) সত্যতা যাচাই করেনি৷ তবে তৃণমূলের স্থানীয় দাপুটে নেত্রীর এমন অডিও ক্লিপ ভাইরাল হওয়ার জেরে জোর শোরগোল পড়েছে কাঁথির স্থানীয় রাজনীতিতে৷
স্বভাবতই, ভাইরাল হওয়া অডিও ক্লিপ নিয়ে উচ্ছ্বসিত গেরুয়া শিবির। তাঁরা আগে থেকেই শাসকের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগে সরব ছিল৷ তৃণমূলের স্থানীয় নেত্রীর ভাইরাল হওয়া এই অডিও ক্লিপ সেই বক্তব্যেকেই কার্যত মান্যতা দিল বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের৷ তবে এঘটনায় স্থানীয় নেত্রীর পাশে নেই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বরা৷
কি রয়েছে এই অডিও ক্লিপে? তাতে শাসকদলের স্থানীয় নেত্রী রিনা দাসকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘কাঁথি পুরসভা একা চালাবে ভেবেছে নাকি! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে সিআইসি হিসাবে নিযুক্ত করেছে, আমি কি করব?’ তারপরে কাঁথির পুরপ্রধান সুবল মান্নার উদ্দেশ্যে কুরুচিকর ভাষায় মন্তব্য করেন তিনি। গলার স্বর চড়িয়ে রিনাদেবীকে বলতে শোনা যায়, ‘‘কত বড় পুরপ্রধান হয়েছে, আমি দেখছি! কেউ তো মারতে পারেনি, আমি যদি পুরপ্রধান সুবল মান্নার গালে প্রথমে থাপ্পড় না মারতে পারি, তাহলে আমাকে আমার বাবা জন্ম দেয়নি!’’ ‘চোর পুরপ্রধান’ সুবল, ‘প্যাণ্ডেল ব্যবসায়ী’ বলেও কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করেন। পুরপ্রধানের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলে তিনি৷ একই সঙ্গে পটাশপুরের বিধায়ক তথা জেলা সভাধিপতি উত্তম বারিক অনুগামী কয়েকজন কাউন্সিলরদের নিয়ে পুরসভার চুরি করছে বলেও অডিওতে বলতে শোনা গিয়েছে রিনাদেবীকে৷
এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কাঁথি পুরসভার পুরপ্রধান সুবল কুমার মান্না বলেন, ‘‘উনি (রিনা দাস) তাঁর মনের ইচ্ছা পূরণ করছেন। এর উত্তর আমার কাছে নেই।’’ রিনাদেবী অবশ্য এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি৷ কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তরুণ কুমার মাইতি বলেন, “এরকম কুৎসিত মন্তব্য দল সমর্থন করে না। যদি কোনও অসন্তোষ থেকে থাকে দলের মধ্যে আলোচনা করে মিটিয়ে ফেলা উচিত। ব্যক্তিগত কুৎসা দল কোনওদিন সমর্থন করে না। এই বিষয়ে দলগতভাবেই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে৷’’
অন্যদিকে বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি অসীম মিশ্র বলেন, “পুরভোটে চুরি করে ভোটে জেতা তৃণমূলের স্বরূপ প্রকাশ পেয়েছে। যারা চুরি করে ভোটে জিতেছেন, তারাই এখন নিজেদের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে নিজেরাই নিজেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন। কাঁথির মানুষ বুঝতে পারছেন, কাঁথির উন্নয়ন কেন স্তব্ধ!’’ বস্তুত, ভাইরাল হওয়া অডিও ক্লিপ (Viral audio clip) নিয়ে জোর চর্চ্চা শুরু হয়েছে জনমানসেও৷ পার্থ, অনুব্রতর প্রসঙ্গ টেনে তাঁরা বলছেন, তাহলে কি তৃণমূলের অধিকাংশ সত্যিই চোর!
আরও পড়ুন: দিদির জমানা: আতঙ্কের নাম CPM, প্রাণ বাঁচাতে মরা স্বামীকেও অস্বীকার করতে দ্বিধা করেননি বধূ
downloads: https://play.google.com/store/apps/details?id=app.aartsspl.khaskhobor