কাঁথি: তৃণমূলের সঙ্গে মানুষ নেই , পুলিশ তৃণমূলকে বাঁচিয়ে রেখেছে। আহত বিজেপি কর্মীকে দেখতে এসে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন কাঁথি পুরসভার ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আহত বিজেপি কর্মী রুপম মাইতির বাড়িতে দেখা করতে আসেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আহত বিজেপি কর্মী রুপম মাইতি সহ বাকি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। আগামী দিনে বিজেপি কর্মী ও পরিবারের সদস্যদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি।
এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “তৃণমূলের সঙ্গে কোনও মানুষ নেই। পুলিশ তৃণমূলকে বাঁচিয়ে রেখেছে। পুলিশ বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচার করছে তৃণমূলের হয়ে। বলছে, সব হয়ে যাবে ভোটের পরে। এসব অসভ্যতামি ছিল না।”
খানিক থেমে হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, “স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মাটি। সব রাজনৈতিক দল থাকবে। কি করে পরিস্থিতি শান্ত করতে হয় তা আমার জানা আছে। কোন ক্যাটাগরি যোগ হলে, কোথায় টাটা লবন দিতে হবে, আবার কোথায় দাদন পাত্র করে লবন দিতে হবে আমার ভাল করে জানা আছে।”
তিনি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। শুভেন্দু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাত্রধরা ও তেলিপুকুর মাঠে সভা করেও দুটো আসন গোহারা হেরেছে।”
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকালে কাঁথি পুরসভা ২ নং ওয়ার্ডের বিজেপি নেতা রুপম মাইতি এলাকায় দেওয়াল লিখনের কাজ শুরু করেন। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও রাজনৈতিক দলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়নি। পদ্মফুল প্রতীক দিয়ে দেওয়াল লিখন করতে শুরু করেন বিজেপি নেতা রুপম মাইতি। তখনই ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অভিজিৎ দাসের নেতৃত্বে হার্মাদ বাহিনি এসে বিজেপি নেতার উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ।
কাঠের বাটাম ও লোহার রড দিয়ে বিজেপি নেতা রুপম মাইতি উপর প্রাণঘাতী হামলা চালায়। প্রকাশ্য দিবালোকে বিজেপি নেতার উপর হামলার ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এলে সেখান থেকে তাকে ওই বিজেপি নেতাকে ছেড়ে দেয় বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত জখম হয় বিজেপি নেতাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন উত্তর কাঁথি বিজেপি বিধায়ক সুমিতা সিনহা সহ বিজেপি নেতৃত্বরা। রক্তাক্ত জখম ওই বিজেপি কর্মীকে উদ্ধার করে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।