বোলপুর: রীতিমতো তথ্য পেশ করে রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বড়সড় বেনিয়মের অভিযোগ আনলেন বোলপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়৷ তাঁর অভিযোগ, মৎস্য দফতরে নিয়োগ থেকে শুরু করে বেআইনিভাবে সরকারি মাছ বিলি করা হয়েছে৷ রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে অনির্বাণবাবুর দাবি, ‘‘বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর এবিষয়ে যথোপযুক্ত তদন্ত করা হবে৷’’ যদিও অনির্বাণবাবুর অভিযোগ খারিজ করে মৎস্যমন্ত্রী তথা বোলপুরের তৃণমূল প্রার্থী চন্দ্রনাথ সিনহার পাল্টা দাবি, ‘‘স্বচ্ছতার সঙ্গেই দফতরের প্রতিটি কাজ হয়েছে৷ দুর্নীতির প্রশ্নই ওঠে না৷’’
আরও পড়ুন: west bengal assembly election 2021 বক্তৃতার মাঝে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে তৃণমূলের চক্রান্ত দেখলেন স্মৃতি
বুধবার বোলপুরে সাংবাদিক বৈঠক করেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর অনির্বাণ৷ রীতিমতো তথ্য পেশ করে তিনি দাবি করেন, ‘‘তৃণমূলের জমানায় চন্দ্রনাথ সিংহ মৎস্য দফতরে প্রচুর দুর্নীতি করেছেন৷ বেআইনি ভাবে প্রায় ৮০০ জনকে নিয়োগ করেছেন মৎস্য দফতরে৷ অথচ তাঁদের ৮ মাসের বেতন দেওয়া হয়নি৷ এমনকি লক ডাউনের সময় সরকারি মাছ বেআইনিভাবে বিলি করেছেন মন্ত্রী৷’’ বোমা ফাটিয়েছেন, ‘‘ক্ষমতায় আসার পর আমরা প্রতিটি বিষয়ের তদন্ত করব৷’’
আরও পড়ুন: west bengal assembly election 2021 বিজেপির মিছিলে জয় শ্রীরামের পরিবর্তে আলা হু আকবর ধ্বনি
কেন তদন্ত, তাঁর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন অনির্বাণ৷ তাঁর কথায়, ‘‘সরকারি সম্পত্তি মানে জনগণের সম্পত্তি৷ সেই সম্পত্তি কেউ ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করলে সেটা অপরাধের সমতুল্য৷ রাজ্যের মানুষ দু’বেলা দু’মুঠো অন্ন জোটাতে অমানুষিক পরিশ্রম করবেন৷ আর মন্ত্রী হয়ে কেউ জনগণের সম্পত্তি পার্টির স্বার্থে, ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করবে, এই জিনিস আমরা বরদাস্ত করব না৷ বিজেপি মানে সমান অধিকার৷ আমরা ওঁনার এই বেনিয়মের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিশন গঠন করব৷’’ যদিও অভিযোগ উড়িয়ে চন্দ্রনাথের পাল্টা দাবি, ‘‘যখন ইচ্ছে তদন্ত করতে পারেন, আমি কোনও বেনিয়ম করিনি৷’’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, চন্দ্রনাথবাবু বোলপুরের দু’বারের বিধায়ক হলেও এবারে সেখানে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো একজন স্বচ্ছ ভাবমূর্তির গুণী মানুষকে প্রার্থী করায় শাসকদল যথেষ্ট চাপে পড়ে গিয়েছে৷ অনুব্রত মণ্ডলের খাসতালুক হিসেবে পরিচিত বোলপুরের মাটিতে বিজেপির সভা, সমাবেশে জন সমাগমও বেশ ভালই৷ স্বভাবতই সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে এবার ফাঁকে মাঠে গোল দেওয়ার সুযোগ শাসকদলের নেই বলেই অভিমত সংশ্লিষ্ট মহলের৷