খাস খবর, কলকাতা ও কাঁথি: মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন৷ বুঝে গিয়েছেন নিজের কেন্দ্রে হেরে যাবেন৷ তাই ভবানীপুর থেকে পালাচ্ছেন৷ তবে ভবানীপুরে উনি যত ভোটে হারতেন তার তিনগুন বেশি ভোটে আমরা ওঁনাকে হারাব৷ হুঙ্কার শুভেন্দু অধিকারীর৷ একই সঙ্গে তাঁর দাবি, ‘‘নন্দীগ্রামের মানুষ আওয়াজ তুলেছে মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র কে চাই, বহিরাগত নয়৷’’
আগামী ৭ মার্চ কলকাতায় ব্রিগেড সমাবেশ রয়েছে বিজেপির৷ প্রধানবক্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ ব্রিগেডের সমর্থনে শুক্রবার বিকেলে পাঁশকুড়ার নারায়ণ দিঘির মাঠে দলীয় জনসভা থেকে এই দাবি জানান শুভেন্দু৷ প্রসঙ্গত, এদিনই প্রকাশিত হয়েছে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা৷ নন্দীগ্রাম থেকেই লড়বেন আগেই জানিয়েছিলেন দলনেত্রী৷ প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর দেখা যায়, নন্দীগ্রামের প্রার্থী হিসেবেই নাম রয়েছে মমতা৷ এরপরই এদিন সুর চড়িয়েছেন শুভেন্দু৷
ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন সদস্য অশোক দিন্ডা, তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি নবারুন নায়ক, প্রতীক পাখিরা, কনিস্ক পণ্ডাদের উপস্থিতিতেই তিনি হুঙ্কারের সুরে বলেন, ‘ভবানীপুরে যে ভোটে হারতেন, তার ৩ গুণ ভোটে হারিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কলকাতায় ফেরত পাঠাব৷’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, “আপনি বলেছেন, শুধু নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়াবেন। আপনাকে স্বাগত। লড়াইয়ের ময়দানে দেখা হবে। আর ২ তারিখে গননার দিন এখানে সবুজ আবির সরিয়ে গেরুয়া আবির ওড়াব। মেদিনীপুরের মাটি, দুর্জয় ঘাঁটি। নন্দীগ্রামের মানুষ আওয়াজ তুলেছে মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র কে চাই ,বহিরাগত নয়।”
নরেন্দ্র মোদীর জনসভা সফল করতে মেদিনীপুর থেকে এক লাখ লোক নিয়ে গিয়ে মাঠ ভরিয়ে দেব। একথা জানিয়ে জনতার উদ্দেশ্য শুভেন্দুর আহ্বান, ‘‘তোষণকারী তৃণমূল সরকারকে পরিবর্তন করতে আমাদের সবাইকে ব্রিগেড যেতে হবে৷ সোনার বাংলা গড়তে হলে ডাবল ইঞ্জিন সরকার চাই৷’’ তাঁর দাবি, ‘‘আমি যেদিন আসিনি,সেদিন পাঁশকুড়াতে জিততে পারেননি। আমি যেদিন থেকে এসেছি সেদিনই থেকেই পাঁশকুড়াতে জিতেছে। আগামী ২ মে পর কিছুই থাকবে না সবাই বিজেপিতে চলে আসবে। চারিদিকে শুধু গেরুয়া আর পদ্মফুল।’’ অভিযোগ করেছেন, মমতা সাম্রাজ্যে চা দোকানে পান দোকানে পাউচ বিক্রি হচ্ছে। তৃণমূল সরকারকে তাড়াতে না পারলে রাত্রিতে শান্তিতে ঘুমাতে যেতে পারবেন না।
বৃহস্পতিবার রাতেই বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে নন্দীগ্রামেই প্রার্থী হচ্ছেন শুভেন্দু৷ খাসখবর সেই খবর exclusive করেছে৷ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদেকর মতে, মমতাকে তিনগুন ভোটে হারাব বলে পরোক্ষে শুভেন্দুও এই বার্তা দিতে চেয়েছেন যে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হচ্ছেন তিনি৷ প্রসঙ্গত, ‘‘আমি যদি নন্দীগ্রামে দাঁড়ায়’ জানুয়ারিতে নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরই শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি ছিল হাফ লাখ ভোটে হারাব৷ পরবর্তী পরিস্থিতিতে শুভেন্দু মমতাকে একাধিকবার হারানোর কথা বললেও ব্যবধানের সংখ্যা উল্লেখ করেননি৷ কেন, তা নিয়েও কিন্তু চলছে জোর জল্পনা৷