কলকাতা: রাজ্য রাজনীতি যেন এক নাটকের মঞ্চ। সেখানে অহরহ চলছে মহড়া। সমান তালে চলে দলবদলের পালা। পাল্লা ভারী দেখে ঝুলে পড়ার প্রবণতা আছে দেশের নেতা-নেত্রীদের মধ্যে। রাজ্য রাজনীতিও তার ব্যতিক্রম নয়। দলবদলের হাওয়ায় মেতে গেরুয়া উত্তরীয় গলায় ঝুলিয়ে ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। দিল্লিতে গিয়ে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তারপর থেকেই ছন্দ পতন। শোভন ও রাজ্য বিজেপির মধ্যে কার্যত কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন তৃতীয় ব্যক্তি। তাঁর মানভঞ্জনের চেষ্টা চালাচ্ছেন নেতারা।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসেবে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছেন দিলীপ ঘোষ। সাংবাদিকদের ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, শোভনবাবুর অভিজ্ঞতাকে পুরভোটে কাজে লাগাতে চাইছেন। সূত্রের খবর, নতুন রাজ্য কমিটিতে শোভনের মতো অভিজ্ঞ মুখকে রাখতে চাইছে গেরুয়া শিবির। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথাবার্তাও চালাচ্ছে দিল্লির নেতৃত্ব। কিন্তু শোভন ও বিজেপির মাঝে এসে পড়ছেন ওই তৃতীয় ব্যক্তিই।
বিজেপি সূত্রে খবর, ওই তৃতীয় ব্যক্তি রাজ্যসভার সাংসদ হতে চাইছেন। কিন্তু বিজেপি নেতৃত্বের প্রশ্ন, কেন এত দূর বেড়ে খেলবেন তাঁরা? পাশার দান চেলে রেখেছে তৃণমূলও। তৃতীয় ব্যক্তির অফিসার-ইন-চার্জ পদ থেকে ইস্তফাপত্র ঝুলিয়ে রেখেছে রাজ্য সরকার। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগও রয়েছে নেতৃত্বের। দোটানায় বিজেপি শিবির। আপাতত ধীরে চলো নীতিতে চলছে বিজেপি। কাজেই বিজেপিতে থেকেও এখন বিজেপিতে নেই শোভন। পদ পেতে মরিয়া তিনি। তবে সবই ‘তৃতীয় ব্যক্তি’-র ইচ্ছানুসারে হবে। এখন এটাই দেখার শোভনকে কি কাজে লাগাবে বিজেপি? আর তা করতে গেলে ‘তৃতীয় ব্যক্তির বায়না শুনতে হবে। এখন বিজেপি নিজের কোটের বলকে কিভাবে খেলে সেটাই দেখতে চাইছে রাজনৈতিক মহল।