বনগাঁ: এই ক’দিন আগেও তাঁর মুখে শোনা গিয়েছিল, মানুষের স্বার্থে তাঁর এই জন সংযোগ কর্মসূচি জারি থাকবে৷ প্রয়োজনে আবারও বৈঠক এবং পিকনিক করবেন বেসুরোদের সঙ্গে৷ বুধবার থেকে সেই শান্তনু ঠাকুর আচমকাই চুপ করে গেলেন৷ প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখা গেল বটে, তবে মন্তব্য? নৈব নৈব চ:!
কেন? দল বেসুরোদের বরখাস্ত করার কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতেই কি চুপ করে গেলেন শান্তনু ঠাকুর? শান্তনুর কাছ থেকে মেলেনি কোনও প্রতিক্রিয়া৷ ফলে বাড়ছে জল্পনা৷ বুধবার প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের উদ্যোগে ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়িতে রক্তদান শিবির ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল৷ সেখানে এদিন দেখা যায় অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে। চক্ষু পরীক্ষা শিবিরে তাঁকে চোখ পরীক্ষা করাতে দেখা যায়৷
তবে দল বা বেসুরোদের সম্পর্কে তাঁকে কোনও মন্তব্য করতে দেখা যায়নি৷ সংবাদ মাধ্যমের হাজারও প্রশ্নেও কোনও ‘রা’ কাড়েননি তিনি৷ অন্দরের খবর, জয়প্রকাশ মজুমদার সহ একাধিক নেতা, বিধায়ক দলের বহিষ্কারের মুখে পড়ার ফলেই আপাতত নিশ্চুপ থাকার পন্থা নিয়েছেন শান্তনু৷ যদিও অপর একটি অংশের মতে, শান্তনু চুপ করে রয়েছেন মানে এমন নয় যে তিনি পিছু হঠে গেলেন৷ বরং, এতদিন যেটা প্রকাশ্যে চলছিল, এখন থেকে হয়তো সেটাই দেখা যাবে গোপনে৷
বস্তুত, নেতাজি জন্মজয়ন্তির দিন গোবরডাঙায় দলের বেসুরোদের নিয়ে পিকনিকের আয়োজন করেছিলেন বিজেপির বিদ্রোহী সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। সেখানে তাঁর মুখে শোনা গিয়েছিল, ‘‘সাংসদ হিসাবে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে সবাইকে বোঝানো আমার দায়িত্ব । আমি আমার লোকসভা কেন্দ্রে আরও পিকনিকের মাধ্যমে ‘সম্পর্ক যাত্রা’ করছি । রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কর্মীরা এবং ভোটারদের এছাড়া বিভিন্ন কমিউনিটির মানুষদের যারা বিজেপি করে তাদের উজ্জীবিত করতে কর্মীসভা করব৷’’ বস্তুত, প্রায় এক মাস ধরে রাজ্য কমিটিতে রদ বদল নিয়ে শান্তনু ঠাকুররা সুর চড়াচ্ছিলেন৷ তবে আচমকাই তিনি চুপ করে যাওয়ায় বাড়ছে জল্পনা৷
আরও পড়ুন: জেলা সভাপতি বদল না করেই তালিকা ঘোষণা, বিক্ষুব্ধদের কড়া বার্তা BJP-র
আরও পড়ুন:শুভেন্দু ইস্যুতে মমতার ‘কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে’ ছড়ালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি