কলকাতা: রাজ্যের শাসকদলের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের নিশানায় পড়লেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী। বাচ্চু হাঁসদার প্রাসাদসম বাড়ি নিয়েই পিকে-র প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। সম্প্রতি কলকাতায় তৃণমূলের এক বৈঠকে এই বিষয়ে কথা উঠেছে। বৈঠকে শামিল জেলার তৃণমূল নেতাদের একাংশই এই কথা জানিয়েছেন।
আদর্শের প্রশ্নে প্রশান্ত কিশোর যে শাসকদলের মন্ত্রীদেরও ছাড়ছেন না সেটা এই ঘটনায় স্পষ্ট। তৃণমূলের ভোটকুশলী পিকে দলের স্বার্থে উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন প্রতি মন্ত্রীর প্রাসাদতম বাড়ি নিয়ে তাঁকে সতর্ক করছেন, যাতে সাধারণ মানুষের কাছে এর বিরূপ কোনো প্রতিক্রিয়া না পড়ে৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে দলকে গড়ে তুলতেই এই রণকৌশল।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, তৃণমূলের ফলাফলের কারণ খুঁজতে তৎপর হয়েছিল পিকে-র টিম। তখনই বাচ্চু হাঁসদার প্রাসাদোপম বাড়ির খোঁজ পাওয়া যায়। জানা গেছে বৈঠকে বাচ্চুকে কার্যত সতর্ক করেন প্রশান্ত কিশোর।
পিকে বাচ্চুবাবুকে সতর্ক করে বলেন, “আপনি তো আদিবাসী নেতা। আপনার বাড়ির আশপাশে সবার ছোট ছোট বাড়ি। আর আপনি বিশাল প্রাসাদ বানিয়ে ফেলেছেন। লোকজন তো অনেক কিছুই বলছেন”। এই প্রসঙ্গে কথা উঠলে বাচ্চু হাঁসদা জানান, ‘‘নিজের গ্রামে থাকার জন্য একটা বাড়ি তো দরকার। আর তা ছাড়া বাড়িতে অনেক অতিথি আসেন। তাঁদেরও থাকার ব্যবস্থা করতে হয়। তাই বাড়ি বানিয়েছি। আগে শিক্ষক ছিলাম। ভোটে জিতে মন্ত্রী হয়েছি। মাসে এক লক্ষ টাকার বেশি সাম্মানিক, বেতন পাই। তা জমিয়েই বাড়ি করেছি।’’
উল্লেখ্য, ২০১১ সালেই প্রথম বার বিধায়ক হন বাচ্চু হাঁসদা। পরে তিনি প্রতিমন্ত্রীও হন। ২০১১ সালে প্রায় ৭৩ হাজার ভোট পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু গত লোকসভায় এই একই কেন্দ্র থেকেই প্রায় ২৩ হাজার ভোটে এগিয়ে গেছে বিজেপি। দলের এক নেতাই এবিষয়ে ক্ষোভ উগড়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘নিজের এলাকার উন্নয়ন না করে উনি শুধু নিজের উন্নয়ন করে গিয়েছেন”।