কলকাতা: কথা ছিল, প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময় নন্দীগ্রামেই প্রচার কর্মসূচি জারি রাখবেন এলাকার প্রার্থী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ দলীয়স্তরে শুরু হয়ে গিয়েছিল প্রস্তুতি৷ কিন্তু, নাহ্৷ আপাতত ১৯ ও ২০ মার্চ মুখ্যমন্ত্রীর নন্দীগ্রাম সফর বাতিল করা হয়েছে৷ নন্দীগ্রামে যাচ্ছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
আরও পড়ুন:নিজের ওয়ার্ড থেকেই জিতবেন না সুজিত, দাবি সব্যসাচীর
সূত্রের খবরমমতার : ২০ মার্চ কাঁথিতে অধিকারী গড়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদীর জনসভার জন্যই আপাতত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর সফর৷ কারণ, প্রধানমন্ত্রীর কাঁথির সভায় বেশ কিছু চমক থাকতে পারে৷ অধিকারী পরিবারে ফের ফুটতে পারে পদ্ম৷ আপাতত সেদিকেই নজর রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলনেত্রী৷ তারপরই পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবেন তিনি৷ সেজন্য তিনি নন্দীগ্রামে পা রাখতে পারেন প্রচারের একেবারে শেষ লগ্নে অর্থাৎ মার্চের শেষ সপ্তাহে৷
আরও পড়ুন: বিস্ফোরক রত্না, প্রার্থীপদ না পেয়েও হটকেক সেই শোভন-বৈশাখীই
ওই সূত্রের দাবি, শুভেন্দু পিতা শিশির ও ভাই দিব্যেন্দু গেরুয়া জার্সি গায়ে চড়ালে অধিকারী ফ্যামিলিকে আক্রমণ করার পথ আরও সহজ হয়ে যাবে৷ স্বভাবতই, ধীরে চলো নীতি নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ কারণ, নন্দীগ্রামের মাটিতে মুখ্যমন্ত্রীর জয় সুনিশ্চিত৷ ফলে নন্দীগ্রাম নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ভাবিত নন৷ বরং দলের সর্বভারতীয় সভাপতি সুব্রত বক্সি ও নন্দীগ্রামে দলের নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ানের ওপরে আস্থা রেখে তিনি রাজ্যের অন্যান্য প্রান্ত হুইল চেয়ারে করে চষে বেড়ানোর পরিকল্পনা করেছেন৷ উদ্দেশ্য একটাই আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছান৷
যদিও মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য নির্বাচনী এজেন্ট সেখ সুফিয়ান বলছেন, ‘‘দিদির জন্য আমরা যে রুমটি ভাড়া নিয়েছি সেটি দোতলায়৷ হুইল চেয়ারে করে সেখানে ওঠার কোনও উপায় নেই৷ তাই আপাতত সফর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে৷’’
মুখ্যমন্ত্রী এই মুহূর্তে রয়েছেন জঙ্গলমহলে৷ বাঁকুড়া হয়ে আজ তাঁর কর্মসূচি রয়েছে ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুরে৷ সেখান থেকে কলকাতায় ফিরে ফের জেলা সফরে যাবেন তিনি৷ তবে এখনই নন্দীগ্রাম মুখো হচ্ছেন না৷ বরং শেখ সুফিয়ান সহ নিচু তলার কর্মীদের ওপরেই আস্থা রাখছেন তিনি৷ সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে দু’বার এলাকার ‘নির্বাচনী জমি’ সার্ভে করে এসেছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি সুব্রত বক্সি৷ কলকাতা থেকেই তিনি নন্দীগ্রামের যাবতীয় তদারকিও করছেন৷ ফলে নন্দীগ্রাম নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ভাবিত নন বলেই দলের একটি অংশের দাবি৷
প্রসঙ্গত, গত বুধবার নন্দীগ্রাম সফরে গিয়ে মন্দির পরিদর্শনের সময় জখম হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পায়ে গুরুতর চোট পান৷ তবে হাসপাতালে তিন দিন কাটানোর পরই ফের হুইল চেয়ারে করে জেলা সফরে বেরিয়ে পড়েছেন মমতা৷ বিনা যুদ্ধে সুচগ্র বাংলা ছাড়ার প্রশ্নই ওঠে না যে!