খাসডেস্ক: নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় এবার বামেরা। আর জি কর কাণ্ডে সকলে যখন রাজ্য সরকারকে দোষাচ্ছে ঠিক সেইসময় বামেদের ঘাড়ে দায় চাপানোর চেষ্টা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (MAMATA BANERJEE)। নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করে পরোক্ষে নিশানায় রাখলেন বামেদেরকেই। গত ৯ ই অগাস্ট থেকে উত্তাল আর জি কর। নেপথ্যে এক তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যু। ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তদন্ত শুরু হলেও পরে দুর্নীতির বড় অভিযোগ উঠে আসে। হাসপাতালের অধ্যক্ষের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় চিকিৎসক সন্দীপ ঘোষকে।
আরও পড়ুন: ফরেন্সিক রিপোর্ট নিয়েও প্রশ্ন, CBI জানাল শীর্ষ আদালতে
কিন্তু সন্দীপ ঘোষেদের মতো লোকেদের কাদের মদতে এত বাড়বাড়ন্ত? রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কি কিছুই জানতেন না? তিনি তো রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীও। বলাবাহুল্য দুর্নীতির অভিযোগে ইতিমধ্যেই সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন সন্দীপ। প্রাক্তন অধ্যক্ষের আলিশান বাংলো, ফ্ল্যাট সবই এসেছে আতসকাচের নীচে। একজন অধ্যক্ষ হয়ে কি ভাবে এত বিপুল সম্পত্তির অধিকারী? প্রশ্ন উঠছে দিকে দিকে। দুর্নীতির অভিযোগহ তুলে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রককে যে নিশানা করা হচ্ছে এদিন তারই জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।
আরও পড়ুন: দাবি করলেই দাবি মানা নয়, সিপির পদত্যাগ নিয়ে ঘুরপথে বার্তা রাজ্যের পুলিশমন্ত্রীর
৩৪ বছরের বাম রাজত্ব শেষ করে ২০১১ সালে রাজ্যের মাটি দখল করে তৃণমূল। বাম দুর্গের অবসান ঘটে। জবাব দিতে গিয়ে ১৩ বছর আগে ফিরে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (MAMATA BANERJEE)। বাম আমলকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, “আজ যারা বড় বড় কথা বলছে, তারা ৭০০ ডিপার্টমেন্টে ঘুঘুর বাসা ঢুকিয়ে রেখেছিল। সেই ঘুঘুর বাসা আমরা ভাঙতে পারিনি। কারণ আপনাদের বামফ্রন্টের লোক বসে আছে।” অর্থাৎ ব্যর্থতা কথা বলেও সুক্ষ্ণ রাজনৈতিক কৌশলে তা ঢেকে দেওয়ারও চেষ্টা করলেন। সঙ্গে সঙ্গে মনে করানোর চেষ্টা করলেন বাম শাসনে নিজের লড়াই এর কথা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সরকার বাম সরকার নয়। সিঙ্গুর নিয়ে ২৬ দিন অনশনে ছিলাম, কেউ ওরা কথা বলেনি। নন্দীগ্রামের ১৪ জনের সাজা আজও জানি না। আরও ১০ জন মিসিং এখনও। ১৬ বছর কেটে গেল।”