খাসডেস্ক: ‘চটি চাটা পুলিশ’। ‘মমতা পুলিশ’। কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেই এমন তির ধেয়ে আসে রাজ্য পুলিশের (POLICE) উদ্দেশে। আর জি কর ঘটনাও তাঁর ব্যতিক্রম নয়। তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় প্রথম থেকে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে। এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আবার রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীও। বলাবাহুল্য আর জি কর ঘটনার পর মমতার দুই দফতরেই ভূমিকা প্রশ্নের মুখে। এমনকি মুখ্যমন্ত্রীরও পদত্যাগের দাবি উঠেছে বিরোধী শিবির থেকে। আজ, সোমবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মমতা। সেখানে কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগ নিয়ে কার্যত স্পষ্ট বার্তা দেন।
আরও পড়ুন: পুলিশের টাকা অফারের বিষয়টি নিয়ে কী বলল সুপ্রিম কোর্ট
সম্প্রতি লালবাজার অভিযান করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। প্রায় ২২ ঘণ্টা পর সিপির সঙ্গে দেখা করার ছাড়পত্র পান প্রতিবাদীরা। প্রতীকি মেরুদণ্ড হাতে নিয়ে চিকিৎসকের দলটি সিপির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। সিপির হাতেই সিপির পদত্যাগের দাবিপত্রটি তুলে দেওয়া হয়। সিপি বিনীত গোয়েলের পরিবর্তে বেশ কয়েকটি নামও উঠে আসে। তবে আপাতত সেইসব জল্পনায় জল ঢেলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। সরাসরি নয়, তবে ঘুরপথে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বুঝিয়ে দিলেন সিপি বদলের কোন সম্ভবনা নেই এখন। অন্তত পুজোর আগে পর্যন্ত। সেইসঙ্গে মমতা জানান ৭ দিন আগে পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল এসেছিলেন পদত্যাগ করতে। কিন্তু সামনে পুজো। আইন-শৃঙ্খলাও একটা বড় বিষয়। পাশাপাশি তিনি বুঝিয়ে দেন দাবি করলেই যে দাবি মানতে হবে এমনটা কিন্তু একেবারেই নয়। সেইসঙ্গে পুলিশের দরাজ প্রশংসা করে গোড়া থেকে আর জি করের গোটা বিষয়টা পুলিশ দারুনভাবে সামলে নিয়েছে বলে দাবি করেন রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী থুড়ি মুখ্যমন্ত্রী
আরও পড়ুন: ময়নাতদন্তের সময় তরুণীর দেহ ঘিরে ছিলেন কারা?
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য কলকাতা পুলিশ কমিশনারের (POLICE COMMISSIONER) মতো আর জি করের ঘটনায় প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের পদত্যাগের দাবি উঠেছিল একইরকমভাবে। তবে চিকিৎসক সন্দীপ ঘোষকে না সরিয়ে অন্য হাসপাতালে বদলি করে দেয় স্বাস্থ্য দফতর। প্রতিবাদের আগুনে যেন ঘি পড়ে তখনই। জোরাল হয় প্রতিবাদ। সন্দীপ ঘোষকে আড়াল করার অভিযোগ ওঠে। এমনকি আদালতের ভৎসনার মুখে পড়তে হয় রাজ্যকে।