তিমিরকান্তি পতি, বাঁকুড়া: ওন্দার পর এবার বেসুরো ইন্দার বিজেপি বিধায়ক৷ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পদে রদবদলের সিদ্ধান্তের বিরোধিতার পর এবার ‘দলবদলে’র ইঙ্গিত দিলেন ইন্দাসের বিজেপি বিধায়ক নির্মল ধাড়া।
শুক্রবার তিনি বলেন, ‘ইন্দাসের মানুষ আমাকে বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। তাঁদের চাওয়া পাওয়া তো একটা থাকতেই পারে। সাধারণ মানুষের উন্নয়নের স্বার্থে যেখানেই যেতে হয় আমি যাব৷ এমনকি প্রয়োজনে দল পরিবর্তন বা তৃণমূলেও যেতে পারি!’’ বিধায়কের এহেন মন্তব্যকে ঘিরে জেলা তো বটেই রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন শুরু হয়েছে৷
প্রসঙ্গত, বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে শুক্রবারই ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা বলেন, ‘‘আমার এলাকা, নিজের হাতে তৈরি সংগঠন। এখানে আমার সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষী থাকাটা ‘অস্বস্তিকর’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে দিল্লিতে নিরাপত্তারক্ষী প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছি৷’’ অমরনাথবাবুর কথায়, ‘‘নিরাপত্তার কোনও আবেদন কেন্দ্র ও রাজ্যের কাছে করিনি৷ প্রথম দু’মাস তো নিরাপত্তা রক্ষী ছাড়াই ছিলাম৷ কিছু সমস্যা আছে৷ তাই নিরাপত্তারক্ষী রাখতে চাই না৷’’
অমরনাথবাবুর এহেন বক্তব্যের পর নির্মল ধাড়ার এহেন মন্তব্যকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য৷ সম্প্রতি বিজেপি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি রাজ্য জুড়েই ব্যাপক রদবদল হয়। আর সেই পথে হেঁটেই বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পদে সুনীল রুদ্র মণ্ডল ও বিল্বেশ্বর সিংহকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। আর তার পরেই বাঁকুড়ায় বিজেপির ৮ বিধায়কের ৪ জন দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়েন।
পরে ওই একই বিষয়ে বিধায়কদের তরফে দলের কেন্দ্রীয় সভাপতিকে চিঠি, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষী প্রত্যাহারের আবেদনের পাশাপাশি এদিন ইন্দাসের বিধায়ক নির্মল ধাড়ার ‘দলত্যাগে’র ইঙ্গিত যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে আসন্ন পুরভোটের আগে লাল মাটির জেলা বাঁকুড়ায় যথেষ্ট অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। এমনটাই মনে করছেন জেলার রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: বেটি পটাও, এ কি বললেন প্রধানমন্ত্রী, কটাক্ষের ঝড়